উত্তরাখণ্ডে ইন্দো-চিন সীমান্তে বাড়তি বাহিনী মোতয়েন শুরু করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেজিং নিজের এলাকায় সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই উত্তরাখণ্ডে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন শুরু করছে ভারতীয় সেনা। পশ্চিমাঞ্চলের অন্তর্গত লাদাখের পূর্বদিকে সর্বক্ষণের নজরদারিও বাড়িয়েছে সেনা।
সূত্র মারফত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, মূলত উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত ইন্দো-চিন সীমান্তেরক মধ্যাঞ্চলে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। চিন গুলডং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে বাহিনী সংখ্যা বাড়নোয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ।
ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা ছিলই। তার মধ্যেই গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে বাহিনী সংখ্যা বাড়াচ্ছিল চিন। সেই রিপোর্ট আসতেই পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে উত্তরাখণ্ডে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে লাদাখ সেনা দিয়ে সর্বক্ষণ নজরদারি বাস্তবে অসম্ভব। তাই ওই অংশে ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিক্যাল) দিয়েও নজরদারি চলছে। সীমান্তে চিনের কার্যকলাপ জানতে ভারতীয় সেনার বড় হাতিয়ার এই আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিক্যাল নজরদারি।
আরও পড়ুন- ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই লাদাখে ভারতীয় সেনাপ্রধান
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়েছে চিন। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই সব এলাকায় ভারতও সেনা মোতায়েন করেছে। গত বছরই ২৫৫ কিমি দীর্ঘ ডারবুক সায়ক দৌলত বাগ ওল্ডিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছে ভারত। ভারত এই সড়ককেই সুকৌশলে কাজে লাগাতে মরিয়া। এখান দিয়ে বায়ু সেনার যুদ্ধ বিমানে নজরদারির সুবিধা রয়েছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ আগেই করেছিল নয়া দিল্লি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই ১৭০ বার ভারতীয ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে চিনা সেনা। এর মধ্যে ১৩০ বারই লাদাখ দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে চলে এসেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। গত বছর এই সময়কালে ১১০ বার এই ঘটনা ঘটেছিল। ফলে লাদাখে মাঝে মধ্যেই দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহেই লাদাখে সেনাবাহিনীর মুখ্য কার্যালয়ে যান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে।
Read In English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন