তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অতীতের সব নজির ভেঙে দুই রাষ্ট্রনেতা ফোনে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেছেন। আলোচনায় বিশ্বের দুই বৃহত্তম শক্তি আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিনপিং। ফোনে তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের সম্পর্কে আমেরিকা যাতে বাধা হয়ে না-দাঁড়ায়, বাইডেনকে সেই হুঁশিয়ারিও দেন জিনপিং। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের বিরোধিতা করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে বেজিং।
ফোনেও জিনপিং জানিয়েছেন, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ান যোগাযোগ রাখুক, সেটা তারা চায় না। কারণ, তাইওয়ানের সেই অধিকারই নেই। শি ফোনে বেশ চড়াসুরে একথাও বলেছেন, এর আগেও তাইওয়ান নিয়ে চিন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। কিন্তু, আমেরিকা কিছুতেই চিনের সেই হুঁশিয়ারির গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। ফোনে শি বলেন, 'যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবে, তাঁরা সেই আগুনেই পুড়বে। কারণ, চিনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা চিনের ১৪০ কোটি নাগরিকের দৃঢ় ইচ্ছা। পেলোসির তাইওয়ান যাওয়া উচিত নয়। পিপলস লিবারেশন আর্মি যে কোনও বিদেশি শক্তির প্রতিরোধে প্রস্তুত।'
আরও পড়ুন- ‘মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে’, রাষ্ট্রপত্নী বিতর্কে প্রেসিডেন্ট মুর্মুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা অধীরের
পালটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা তার নীতি বদলাবে না। তাইওয়ানের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে আমেরিকা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাইওয়ানের ওপর একনায়কতন্ত্র চালানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ করছে আমেরিকা।' পাশাপাশি, হোয়াইট হাউসও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই ধরনের হুমকির প্রবল বিরোধী। দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে যাচ্ছে চিন। আলোচনার সুর প্রথম থেকেই বেশ চড়া থাকায় বাণিজ্য, প্রযুক্তি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আলোচনায় কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেই হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর।
হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, আলোচনার চেষ্টার বদলে শি উলটে শুধু ফোনে অভিযোগই করে গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিল্পপতি এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রযুক্তি রফতানিতে মার্কিন বাধা বিশ্ব অর্থনীতিকে আঘাত হানবে। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে আর উদ্ভাবনের ঘটনা কমাবে। উন্নতি হয়েছে বলতে একটাই। দুই রাষ্ট্রনেতাই সামনাসামনি কথা বলতে চাইছেন। নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের প্রথম ২০টি আর্থিক শক্তির বৈঠক হবে। সেখানে বাইডেন এবং জিনপিঙের সামনাসামনি কথা হতে পারে।
Read full story in English