গত বছর ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। তাতে শহিদ হয় এক কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সেই ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাল, সেই সংঘর্ষে চিনা বাহিনী অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। বিপুল সংখ্যক সেনার কাছে সেই অস্ত্র মজুত ছিল বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
২০২০ সালতামামিতে সেই কথা উল্লেখ করেছে মন্ত্রক। গত বছর মে মাসে মুখোমুখি অবস্থানে আসে দুই দেশের সেনা। গালওয়ান উপত্যকায় দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চরমে পৌঁছয়। ১৫ জুন যা রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের। সেইসময় চিনা সেনা ভারতীয় জওয়ানদের উপর সেই অপ্রচলিত, যা যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় না, এমন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে। বেসবল ব্যাটের মতো কাঠের গুঁড়ির উপর কাঁটাতার জড়ানো অস্ত্র।
আরও পড়ুন ক্রাইস্টচার্চে হামলার আগে তিন মাস ভারত ভ্রমণ বন্দুকবাজের
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রিভিউ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ভূখণ্ড রক্ষার জন্য ভারতীয় সেনা জওয়ানদের পরাক্রম দেশের অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ২০ জন জওয়ানের আত্মবলিদান দেশ কখনও ভুলবে না। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-তে সেই সংঘর্ষে বেশ কিছু চিনা সেনাও নিহত হয়। কিন্তু নিহতের প্রকৃত সংখ্যা চিনের তরফে প্রকাশ করা হয়নি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন