ন্যান্সি পেলোসির সফরের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাইওয়ানের আকাশসীমা ভেঙে ঢুকে পড়ল চিনের ২৭টি যুদ্ধবিমান। কয়েক সপ্তাহ টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবারই বিশেষ মার্কিন যুদ্ধবিমানে চেপে ন্যান্সি পেলোসি পা রেখেছিলেন তাইওয়ানের মাটিতে। ২৫ বছর পর চিনের হুমকি উপেক্ষা করে কোনও মার্কিন শীর্ষকর্তা পা রেখেছেন তাইওয়ানে।
কিন্তু, এই সফরকে যে তারা খোলা মনে নিচ্ছে না, তা আগেই জানিয়েছিল চিন। পেলোসি যেতেই সাইট্রাস, মাছ-সহ বিভিন্ন খাবার তাইওয়ান থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয় বেজিং। তবে যাওয়ার আগে পেলোসি তাইওয়ানের বাসিন্দাদের কথা দিয়ে গিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তাদের পাশে আছে। আর, তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। পেলোসির এই সব কথাতেই আরও চটেছে বেজিং। কারণ, তাইওয়ানকে বহুদিন থেকেই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে থাকেন চিনের শীর্ষকর্তারা।
পেলোসি অবশ্য সেসবের তোয়াক্কা করেননি। তাঁর দেশের প্রতিনিধি হিসেবে জানিয়েছেন, তাইওয়ান যেমন স্বশাসিত আছে, তেমনই থাকুক, এমনটাই চায় আমেরিকা। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেছেন তিনি। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে পেলোসি বলেছেন, 'তাইওয়ানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক এখন আগের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এই বার্তা নিয়েই আজকে আমি এসেছি।'
আরও পড়ুন- রাজধানীতে চাঞ্চল্য, ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিস সিল ইডির, সনিয়ার বাড়ির বাইরে প্রচুর পুলিশ
পালটা চিনও তার প্রতিবাদ বজায় রেখেছে। বেজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, 'ওয়াশিংটন ভুল করেছে। তার জন্য তাকে মূল্য চোকাতে হবে। চিনকে ব্যস্ত রাখতেই তাইওয়ান ইস্যু আমেরিকা ব্যবহার করছে। পেলোসির সফর চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।'
আর, সেসব যে কথার কথা নয়, তা বোঝাতেই বুধবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ল চিনের ২৭টি যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, হংকংয়ে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চিনপন্থীরা। সেখানে পেলোসির ছবি এনে, তার ওপর পচা ডিম ছোড়া হয়েছে। ছবিতে জুতো দিয়ে মাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
Read full story in English