গত বছর বাংলো বরাদ্দ হয়েছে রেলমন্ত্রীর জন্য। কিন্তু, এখনও সেই সরকারি বাংলো জোর করে দখল করে রেখেছেন লোক জনশক্তি পার্টির সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান। তাই, বাংলো থেকে চিরাগকে উচ্ছেদকে করতে বিশেষ দল পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন এবং নগরোন্নয়নের বিভাগের অধীনস্ত দি ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস, সংক্ষেপে ডিওই। বুধবার দিল্লির ১২, জনপথের ঠিকানায় হাজির হয়েছিলেন ডিওইর আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশকর্মীরাও।
নিয়মমাফিক কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের পাশাপাশি সাংসদরাও দিল্লিতে সরকারের থেকে বাংলো পান। কিন্তু, মেয়াদ শেষের পর বা পরাজিত হওয়ার পরও কোনও কোনও সাংসদ বা মন্ত্রী সেই বাংলো ছাড়তে চান না। এতে নতুন সাংসদ ও মন্ত্রীদের বাসস্থান নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় সরকারকে। এনিয়ে এবার বেশ তত্পর হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র। ইতিমধ্যে ৭, মতিলাল নেহরু রোডের বাংলো থেকে বিজেপির লোকসভা সাংসদ রামশংকর কাঠেরিয়াকে সরানো হয়েছে। ১০, পণ্ডিত পন্থ মার্গ থেকে সরানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিসি সারেঙ্গিকে। একই সমস্যা তৈরি হয়েছে চিরাগ পাসোয়ানের বাংলো নিয়েও।
আরও পড়ুন- আরও চাপে বিজেপি, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়েরের নির্দেশ আদালতের
চিরাগের বাংলো দখলের পর বুধবার ডিওইর এক আধিকারিক বলেছেন, 'প্রতিদিনই এভাবে বাংলো খালি করার কাজ চলছে। চিরাগ বলে আলাদা কিছু না। চিরাগ পাসোয়ানের জন্য সাংসদের ফ্ল্যাট আছে। তিনি এখন সেখানে থাকছেন। ১২, জনপথের বাংলো গতবছরই খালি করার কথা ছিল। কারণ, এটা রেলমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ। এই নিয়ে তিন দিনে তিনটি বাংলো খালি করা হল। যাঁরা দখল করে ছিলেন, তাঁদের সাংসদদের জন্য বরাদ্দ বাংলোয় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
চিরাগ এতদিন যে বাংলোয় থাকছিলেন, ১২-জনপথের এই বাংলো তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু, রামবিলাস প্রয়াত হয়েছেন। এরপরই গত আগস্টে বাংলোটি রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ জন্য বরাদ্দ করা হয়। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বৈষ্ণ ওড়িশা থেকে নির্বাচিত। চিরাগ চলে যাওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই অশ্বিনী বৈষ্ণ এই বাংলোয় চলে আসবেন বলেই ডিওইর কর্তারা জানিয়েছেন।
Read story in English