রাতের অন্ধকারে গির্জায় ঢুকে ভাঙচুর, লুঠপাঠ চালায় বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি। ঘটনাটি কর্ণাটকের মহীশূরের। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কর্ণাটকে মহীশূরের পিরিয়াপাটনার সেন্ট মেরি গির্জায় প্রবেশ করে ভাংচুর চালায় একদল দুষ্কৃতি। ভাংচুর করা হয়েছে যিশুর মূর্তিও। এছাড়াও চার্চে রাখা একাধিক সামগ্রী ভাংচুর করা হয়। পাশাপাশি লুঠ করে নেওয়া হয় চার্চে রাখা দানবাক্সও।
পুলিশ জানিয়েছে যে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কর্ণাটকের মহীশূরে একটি গির্জায় ভাঙচুর চালায় বেশ কিছু দুষ্কৃতি। রাতের অন্ধকারে ঘটে এই ঘটনা। পুলিশ জানায়, গির্জায় ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে রাখা যিশুর মূর্তিও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। মহীশূরের পেরিয়াপাটনার সেন্ট মেরি চার্চে বড়দিনের মাত্র দুই দিন পরে এই ঘটনাটি সামনে এসেছে। প্রতি বছর বড়দিনের দিন (২৫ ডিসেম্বর) পেরিয়াপাটনার সেন্ট মেরি চার্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই ঘটনার জন্য পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তার খোঁজে কর্ণাটক পুলিশ একাধিক টিম গঠন করেছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গির্জা প্রাঙ্গণে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ গির্জার একজন কর্মচারী প্রথম ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি দেখেন। তিনি গির্জার আধিকারিকদের বিষয়টি জানান। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা গির্জার পিছনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছিল। মহীশূর পুলিশের এসপি সীমা লাটকার বলেছেন, "আমরা চার্চের কাছাকাছি সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে রেকর্ড করা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। বেশ কিছু ক্লু আমরা খুঁজে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি একটি চুরির ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ দুষ্কৃতিরা চার্চের দানবাক্সের টাকা নিয়ে পালিয়েছে"।
খোয়া গিয়েছে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী। গত কয়েক মাসে, অনেক গির্জা এবং খ্রিস্টান মিশনারি জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার অভিযোগের কারণে কিছু ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের ক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে বড়দিনের একটি অনুষ্ঠানে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক হামলা চালায়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলে হামলাকারীদের অভিযোগ।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) উত্তর প্রদেশে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই বছরের শুরুতে কর্ণাটকে ধর্মান্তর বিরোধী বিল পাশ হয়। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত অনেক রাজ্যে জোর করে ধর্মান্তরকরণ ঠেকাতে আইন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই গত বছর বলেছিলেন যে রাজ্য একটি অভিন্ন আইন নিয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।