Advertisment

মানব পাচারের মাথাকে ধরতে মোদীরাজ্যে তৎপর সিআইডি, নিকারাগুয়াগামী বিমানের ২১ যাত্রীকে জেরা

জেরায় অনেকেই ব্যাখ্যা করতে পারেনি কেন তারা চার্টার্ড বিমানে চড়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
France human trafficking

ফ্রান্সের ভ্যাট্রি বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সকালে ফ্লাইটটি শহরে ফিরে আসার পরে মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরের যাত্রীরা, যেখানে প্যারিসের কর্তৃপক্ষ "মানব পাচার" অভিযোগে একটি বেনামী সংকেত পাওয়ার পরে এটি গ্রাউন্ড করা হয়েছিল। (এক্সপ্রেস ছবি)

গুজরাট ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি), শুক্রবার পর্যন্ত, লিজেন্ড এয়ারলাইন্সের নিকারাগুয়াগামী বিমানের ২১ জন যাত্রীর বয়ান রেকর্ড করেছে। সিআইডি সূত্রে দাবি, জেরায় অনেকেই ব্যাখ্যা করতে পারেনি কেন তারা চার্টার্ড বিমানে চড়েছিলেন। ২১ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পরিবারচ্যুত।

Advertisment

২৭৬ জন যাত্রী সমেত লিজেন্ড এয়ারলাইন্সের নিকারাগুয়াগামী বিমানকে সন্দেহভাজন মানব পাচারের জন্য ফ্রান্সে চার দিনে জন্য আটক করা হয়। তার মধ্যে ৬৫ জন ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। বিমানটি ২৬ ডিসেম্বর মুম্বইতে অবতরণ করে। এরপর গুজরাটের ২১ জন যাত্রী বুধবার রাজ্যে ফিরে আসেন।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক যাত্রী দাবি করেছেন যে তারা পর্যটক হিসেবে নিকারাগুয়ায় যাচ্ছিলেন। এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, “যাত্রীরা নিকারাগুয়ায় ঘুরতে যাচ্ছিলেন বলে কেউ কেউ জেরায় জানিয়েছে। তাদের কাছে ভিসা সংক্রান্ত বৈধ নথি ছিল এবং কারও কারও কাছে ট্যুরিস্ট ভিসাও ছিল। তবে, তারা কেন একটি সন্দেহজনক চার্টার্ড বিমানে চড়েছিলেন তা তারা ব্যাখ্যা করতে পারেন নি।
কর্মকর্তারা শুক্রবার জানান যে যাত্রীরা কমপক্ষে ২ স্থানীয় এজেন্টের নাম দিয়েছেন, যারা তাদের মেক্সিকো হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ৫০লাখ টাকা চার্জ করেন। তবে এক্ষেত্রে যাত্রী অভিযোগ দায়ের না করলে এজেন্টদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলেও সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

মানব পাচার নেটওয়ার্কের মূল মাথাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ এই তদন্ত চালায়। গুজরাটের পুলিশ সুপার সঞ্জয় খারাত বলেছেন যাত্রীরা ৪০ লক্ষ থেকে ১.২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এজেন্টদের অর্থ প্রদান করে, যাতে তাদের দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে পৌঁছাতে এজেন্টরা সাহায্য করতে পারেন। কীভাবে এজেন্টদের সংস্পর্শে এসেছিল এবং নিকারাগুয়ায় পৌঁছানোর পরে তাদের পরিকল্পনা কী ছিল তা খুঁজে বের করছে পুলিশ।

gujrat
Advertisment