আগামী ১ মার্চ থেকে বয়স্কদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনায় মৃত্যুহার কমাতে ষাটোর্ধ্ব এবং যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি, কিন্তু দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন, তাঁদেরও এই দফায় প্রতিষেধকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির সিইও আর এস শর্মা বলেন যে এই টিকাদানের লক্ষ্য হল পরবর্তী পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে ২ কোটি ভারতীয়কে রক্ষা করা। সে ভাবেই এই 'নাগরিক কেন্দ্রিক মডেল'টি তৈরি করা হয়েছে। তবে এবার ভ্যাকসিনেশন হবে সব সতর্কতা মেনেই। আর এস শর্মা বলেন, “আপনার বয়স যদি ৬০ বছর বা তার বেশি হয় তবে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না। ৪৫ বছরেরও কম বয়সীদের জিজ্ঞাসা করা হবে। টিকা দেওয়ার সময় প্রেসক্রিপশন নিতে হবে। ছবিও তোলা হবে এবং সিস্টেমে আপলোড করতে হবে।"
সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র, আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে নাম নথিবদ্ধ করাতে হবে। সেই নথিভুক্তিকরণ আবার স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে মিলিয়ে দেখা হবে। কো-উইন অ্যাপের মারফত বয়সের প্রমাণপত্র যাচাই হলে ওই অ্যাপেই কবে, কোথায় টিকা দেওয়া হবে, তা জানা যাবে। প্রয়োজনে টিকা দেওয়ার কেন্দ্র এবং টিকার দিনও ইচ্ছে অনুযায়ী গ্রহীতারা ঠিক করে নিতে পারবেন।
৪৫ বছরের উপর এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা কী করবেন? রাজ্যের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিডনি সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন অথবা যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সমস্যা আছে, তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এদিকে ভারতে করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়ে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, তাতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (সেকেন্ড ওয়েভ) আছড়ে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন