সিএএ বিরোধিতায় এবার কেরালার বাম সরকারের পথে হাঁটল পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে শুক্রবার বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করল ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সরকার। পাঞ্জাব বিধানসভায় ২ দিনের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করলেন সে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রহ্ম মহিন্দ্রা। সিএএ-র পাশাপাশি এনআরসি ও এনপিআর নিয়েও সরব পাঞ্জাব সরকার। সিএএ ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে শিরোমণি অকালি দল। বিধানসভায় অমরিন্দর সিংয়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে তারা। যদিও সংসদে সিএএ-র সমর্থনেই ভোট দিয়েছিল শিরোমণি অকালি দল
আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসি প্রক্রিয়ার হাল হকিকৎ জানতে চেয়ে তিহার জেলকে রিপোর্ট তলব আদালতের
সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে পাঞ্জাবের মন্ত্রী মহিন্দ্রা বলেন, ‘‘নয়া নাগরিকত্ব আইন ঘিরে দেশজুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। পাঞ্জাবেও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, তবে শান্তিপূর্ণভাবে’’। উল্লেখ্য, এদিনই নয়া দিল্লিতে এনপিআর নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বৈঠক চলছে। যেখানে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও ওই বৈঠকে অংশ নেয়নি পশ্চিমহবঙ্গ।
আরও পড়ুন: করিম লালা কে, যার সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাতের কথা বলে প্রত্যাহার করলেন শিবসেনা নেতা?
উল্লেখ্য, এর আগে কার্যত নজিরবিহীনভাবে প্রস্তাবনা পাস হয় কেরালা বিধানসভায়। প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেন শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ। কেরালা বিধানসভায় রয়েছেন মাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক। একমাত্র তিনিই প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ’ ধারার বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনেই বাম সরকার কেরালা বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে। সিএএ বিরোধিতায় যেভাবে বিরোধীরা সোচ্চার হচ্ছে, তাতে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
Read the full story in English