নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় ক্রমশ তেতে উঠছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। বুধবার দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ত্রিপুরা, আসাম। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সে রাজ্যে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত গুয়াহাটিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন আসামের ডিজিপি। অন্যদিকে, আসামের ১০ জেলায় বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
জানা যাচ্ছে, আসাম ও ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় ২ কলাম সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আসামে এক কলাম সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ত্রিপুরা পুলিশ, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস ও আসাম রাইফেলসও মোতায়েন করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ৫ হাজার আধা সেনাকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এয়ারলিফ্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আসামও। জানা গিয়েছে, কাশ্মীর থেকে ২ হাজার আধা সেনা উত্তর-পূর্বে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুসলিমদের অভয় দিলেন অমিত শাহ
Tear gas, security forces and anti-CAB protestors in Guwahati. @IndianExpress pic.twitter.com/BMYLv7j2V3
— Abhishek Saha (@saha_abhi1990) December 11, 2019
Road dividers up in flames. Guwahati. Anti-CAB protests. @IndianExpress pic.twitter.com/39FVitydUk
— Abhishek Saha (@saha_abhi1990) December 11, 2019
আরও পড়ুন: মোদী নির্দোষ গুজরাত দাঙ্গায়, কাঠগড়ায় পুলিশ: নানাবতী কমিশন
উল্লেখ্য, গত সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর থেকেই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। মঙ্গলবারই উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে ১১ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছিল। এদিকে আজ রাজ্যসভায় ক্যাব পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ক্যাব বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এদিন আসামে সচিবালয়ের দিকে ধেয়ে যায় পড়ুয়াদের একটা দল। ব্যারিকেড ভাঙলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
Read the full story in English