নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। তার জেরে আসামসহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে অশান্তি শুরু হয়েছে। বিল প্রত্যাহারের দাবিতে চলছে রাস্তা ও রেল রোকো।
গুয়াহাটিতে অখিল গগৈয়ের কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এবং অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে ৭-টি সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং সেক্রেটারিয়েটের সামনে ব্যারিকেড তৈরির চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাদের।
আরও পড়ুন, মিথ্যা প্রচারের মুখের মত জবাব সংরক্ষণ বিল: প্রধানমন্ত্রী
এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশকে মৃদু লাঠি চার্জ ছাড়াও রাবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও পিছু হঠছিল না বিক্ষোভকারীরা। আইন শৃঙ্খলা পরস্থিতি বলবৎ রাখতে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
গোলাঘাটের নুমালিগড় এলাকায় অসম ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা বিলের বিরুদ্ধে পোশাক খুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
ডিগবয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের বাড়ির সামনের হাইওয়ে অবরোধ করে তাঁকে গোর্খা মহোৎসবে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। নওগাঁতে আসু-র সদস্যরা বিজেপি রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাসকে কালো পতাকা দেখান। কটন স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ডিব্রুগড় ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্রছাত্রীরা।
বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল আসু এবং নেসো। আসামে এ বনধে সর্বাত্মক সাড়া মেলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য পেট্রোপণ্য, কয়লা, বনজ দ্রব্য এবং চুণাপাথর রাজ্যের বাইরে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।
সোমবারই এই বিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন অসম সরকারের সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে গেছে অসম গণ পরিষদ। তারাও এই বনধ সমর্থন করেছে। বিজেপি-র মুখপাত্র মেহেদি আলম বোরা পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই বিল অসমিয়া সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর হবে এবং আসাম চুক্তিকে খারিজ করে দেবে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা অগপ নেতা প্রফুল্ল কুমার মহান্ত বিজেপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করে নতুন করে নির্বাচন চেয়েছেন।
রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অবশ্য বলেছেন এ বিল সমর্থন না করে ঐতিহাসিক ভুল করল অসম গণ পরিষদ।