বিধি প্রণয়ন হলে তবেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব পাবেন শরণার্থীরা। বুধবার কেন্দ্রের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এদিন রাজ্যসভায় তিনি জানান, সরকারের তরফে সংশোধিত আইনে আর কোনও সংশোধন করা হচ্ছে না। নতুন করে কোনও সংযোজন হচ্ছে না। তবে বিধি এখনও প্রণয়ন না হওয়ায় সিএএ কার্যকর হচ্ছে না।
এদিন তিনি বলেন, যে সমস্ত শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। তবে তার আগে আইনের বিধি তৈরি হবে তারপর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। রাজ্যসভায় এদিন লিখিত জবাব দেন রাই। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন্দ্রের কাছে কি কোনও নাগরিকত্ব দেওয়ার আবেদন জমা পড়েছে কি না। উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে ১২ ডিসেম্বর সিএএ আইনে পরিণত হয়। তারপর গত বছর ১০ জানুয়ারি এই আইন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
নিত্যানন্দ রাই এদিন জানিয়েছেন, লোকসভা ও রাজ্যসভার কাছে কেন্দ্রের তরফে আবেদন করা হয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দরকার সরকারের এই আইন কার্যকর করার জন্য। উল্লেখ্য, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন পাশ করে সরকার।
আরও পড়ুন CAA কার্যকর করতে আরও দেরি, বিধি প্রণয়নে ফের সময় চাইল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রচারও করেছিল বিজেপি। তার ফলও কিছুটা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। মতুয়া-উদ্বাস্তু অধ্যুষিত বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ৬টি আসনে জিতেছে বিজেপি। সিএএ দ্রুত কার্যকরের জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ রয়েছে। বাংলার নির্বাচনের সময় মতুয়ারা বারে বারে এই আইন তাড়াতাড়ি কার্যকর করার দাবি তুলেছিলেন। বাংলায় ভোট প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, অতিমারী নিয়ন্ত্রণে এলেই সিএএ বিধি তৈরির কাজ শেষ হবে। তারপরই আইন কার্যকর হবে।
সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করে নয়া নাগরিকত্ব আইন ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সিএএ-র বিরুদ্ধে দিল্লি-সহ দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়। পুলিশের গুলি ও হিংসায় প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারীর প্রাণ গিয়েছে বলে অভিযোগ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন