গুজরাটের জুনাগড়ের দরগায় পোস্ট করা নোটিসকে কেন্দ্র করে তোলপাড়। পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে একজন নিহত, পাশাপাশি ১৭৪ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
একটি অবৈধ দরগা ভাঙার নোটিসকে ঘিরে হিংসা ছড়াল গুজরাটের জুনাগড়ে। দরগায় নোটিস সাঁটানোর পর লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমন সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কিছু অসাধু ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। জুনাগড় পৌর সংস্থার তরফে অবৈধ দরগা ভাঙা হবে বলে একটি নোটিস জারি করা হয়। এরপর এর প্রতিবাদে মানুষজন পথে নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অন্যদিকে, মাজেওয়াদি চকে লোকজন থানায় ভাংচুর চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও সামনে আসে। থানার বাইরে দাঁড় করানো একাধিক গাড়িতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা। জনতা পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে একাধিক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তথ্য অনুযায়ী, জনতা পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং ১৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে জুনাগড় পৌর সংস্থার আধিকারিকরা ধর্মীয় স্থানটিকে বেআইনি নির্মাণ বলে উল্লেখ করে তা ভেঙে দেওয়ার নোটিশ দিতে পৌঁছেছিলেন। নোটিস সাঁটানোকে কেন্দ্র করে দরগার বাইরে ভিড় জমে যায় এবং ৫০০-৬০০ জন মানুষ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পুলিশ জনতাকে থামানোর চেষ্টা করলে কিছু দুস্কৃতি ভিড়ে মিশে পুলিশের ওপর হামলা চালায়, এতে জুনাগড়ের ডিএসপি ও তিন পুলিশ কর্মী আহত হন।
পুরো এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই শহরের এসপি ওয়াসম তেজা শেঠি এবং আইজি মনোজ চাভদা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা নোটিসে বলা হয়েছে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে এই ধর্মীয় স্থানটির আইনগত বৈধতার প্রমাণ পেশ করতে হবে, অন্যথায় এই ধর্মীয় স্থানটি ভেঙে ফেলা হবে এবং এই নোটিসকে কেন্দ্র করেই কার্যত গোটা এলাকা রনক্ষেত্রে পরিণত হয়।