ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলস এপর্যন্ত সংকট-কবলিত মণিপুর থেকে ২৩,০০০ সাধারণ নাগরিককে উদ্ধার করেছে। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। রবিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলায় জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার কারণে রবিবার সকালে কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।
কার্ফু শিথিল থাকার সময় লোকজনকে খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ঘর থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে সেনাবাহিনী ইম্ফল উপত্যকায় ইউএভি (মানবহীন আকাশযান) চলাচল এবং হেলিকপ্টার চালিয়ে আকাশপথে নজরদারি বাড়িয়েছে।
গত ৩ মে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসা শুরুর পর থেকে মণিপুরে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং শনিবার এক সর্বদলীয় বৈঠক করেন। তিনি নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সে উপত্যকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মধ্যেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তিনটি হাসপাতালের শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। কারণ, সরকার এই হানাহানিতে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে স্পষ্ট করে তেমন কিছুই জানাচ্ছে না।
এর মধ্যে শনিবার গভীর রাতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছিলেন যে চূড়াচাঁদপুর জেলায় 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি'র উন্নতির সঙ্গে এবং 'মণিপুর সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পরে, আমি পরিস্থিতি নিয়ে খুশি। আর, তাই কার্ফু আংশিকভাবে শিথিল করা হবে।' বর্তমানে দেশের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে প্রায় ১০,০০০ সৈন্য, আধাসামরিক বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোন পথে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় চার্টার্ড, কোম্পানি সেক্রেটারিরাও?
তবে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী যতই পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কথা বলুন না-কেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে জানিয়েছেন, তিনি মহারাষ্ট্রের পড়ুয়াদের মণিপুর থেকে বিশেষ বিমানে ফেরানোর বন্দোবস্ত করেছেন। বর্তমানে কেরলের বহু মানুষ মণিপুরে আটকে আছেন। তাঁদের ফেরাতে সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে কেরলের বিরোধী দল কংগ্রেস।