Advertisment

ট্রোলিং, ব্যক্তিগত জীবনে নজরদারি, প্রযুক্তির এই সব অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব প্রধান বিচারপতি

আইআইটি মাদ্রাজের ৬০তম সমাবর্তনে স্নাতক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সিজেআই একথা বলেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chief Justice of India DY Chandrachud

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

প্রযুক্তি বৃহত্তর শ্রোতাদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের উত্সাহ দেয়। সেটা সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে। অথবা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। যা সমস্ত ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। এর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত। কারণ মানবিক মূল্যবোধ এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনটাই মনে করছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। শনিবার তিনি একথা বলেছেন।

Advertisment

এই ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'নতুন প্রযুক্তি শূন্যে টিকে থাকতে পারে না।' আর, সেই জন্য এর সুলভ ব্যবহারের সঙ্গে সুরক্ষাও জরুরি। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে জনগণের মধ্যে ভীতি যাতে সৃষ্টি না-হয়, সেটা নিশ্চিত করাও নতুন প্রযুক্তির লক্ষ্য হওয়া উচিত। এককথায় নির্ভরযোগ্য ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া প্রযুক্তির উদ্দেশ্য।

আইআইটি মাদ্রাজের ৬০তম সমাবর্তনে স্নাতক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সিজেআই বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বয়স এবং জাতীয়তার বাধা দূর করে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এই নতুন যোগাযোগের যন্ত্র অনলাইনের অপব্যবহার এবং ট্রোলিংয়ের মতো নতুন আচরণের দিকে নিয়ে গেছে। একইভাবে, এআই-এর অপব্যবহার, বিভ্রান্তি, হুমকি এমনকী ব্যক্তিদের ধমক দেওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। ক্ষতিকারক উদ্দেশ্যে এর অপব্যবহার রোধ করা আপনাদের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হবে।' প্রযুক্তি যেন অনলাইনের অপব্যবহার বা হয়রানির মাধ্যম না-হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আজ, আমি আপনাদের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখে যেতে চাই। আমি আশা করব, আপনারা এই সব প্রশ্ন নিজেদেরকে করবেন। সেটা হল, আপনাদের প্রযুক্তির মূল্য কী এবং এর সামর্থ্য কতখানি? আমি কিন্তু, এই মূল্য বলতে আপনার ধারণা, উদ্ভাবন বা প্রযুক্তির আর্থিক মূল্যকে বোঝাচ্ছি না। আমি বলতে চাচ্ছি যে প্রযুক্তিটি কোন নীতিগত মানের প্রতিনিধিত্ব করছে? বিশেষ করে, আপনি যে প্রেক্ষাপটে এটির ব্যবহার করতে চান, তাতে কি এর মানগুলোকে আরও বাড়িয়ে তোলে?'

আরও পড়ুন- ‘শিখ মানেই খালিস্তানপন্থী না’, বলছেন কানাডার শিখদের এক বিরাট অংশ

কীভাবে প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার করা যেতে পারে, তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট ৪৩ মিলিয়ন ভার্চুয়াল শুনানি করেছে। আর, সারাদেশে আদালতগুলো একইরকম ভার্চুয়াল শুনানি করেছে। যাতে আইনজীবী এবং মামলাকারীদের মামলা নিষ্পত্তির জন্য আদালতে হাজিরা দিতেও সুবিধা হয়েছে। এইভাবে প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করেছে।'

Trolling Justice Chandrachur IIT Madras
Advertisment