সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগে নিয়ে একতরফা তদন্ত বন্ধ করার পরামর্শ দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সম্প্রতি সমগ্র তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিযোগকারিণী মহিলা।
শীর্ষ আদালতের সিনিয়রিটির সাপেক্ষে বিচারপতি চন্দ্রচূড় রয়েছেন ১০ নম্বরে। ২০২২ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে তাঁর মুখ্য বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী বিচারপতি বোবদে, ইন্দু মালহোত্রা এবং বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জির বেঞ্চের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে দেখা করেন বিচারপতি নারিম্যান এবং চন্দ্রচূড়।
বিচারপতি নারিম্যান বর্তমানে কলেজিয়ামের সদস্য। ২ মে, তদন্তকারী প্যানেলকে লেখা এক চিঠিতে চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন অভিযোগকারিণীর অনুপস্থিতিতে ঘটনার তদন্ত করলে তা শীর্ষ আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতাকে নষ্ট করবে। তিনি আরও বলেন তদন্ত কমিটি বরং অভিযোগকারিণীকে একজন আইনজীবী নিয়োগে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন, দক্ষিণে মমতা ও উত্তরে মোদী-অমিত, শেষ প্রচারে কলকাতায় টক্কর?
অভিযোগকারিণী ইতিমধ্যে জানিয়েছিলেন তিনি তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। তারপর তদন্ত কমিটি ওই মহিলার অনুপস্থিতিতেই তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে।
এটি আর পাঁচটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ নয়, যেহেতু অভিযোগ স্বয়ং মুখ্য বিচারপতির বিরুদ্ধে, তাই শীর্ষ আদালত থেকে অভিযোগকারিণী মহিলাকে তাঁর পক্ষে সওয়াল করার জন্য আইনজীবী দিতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত। এবং সেই কারণেই মহিলা তদন্ত ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।
মুখ্য বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনার পর যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়, বিচারপতি এনভি রামানা সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। কারণ হিসেবে রামানা বলেন মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁর পরিবারের মতো। রামানার জায়গায় তদন্ত কমিটিতে আসেন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। তদন্ত ঘোষণা করা হলে অভিযোগকারিণী ফের অভিযোগ করেন, তদন্ত কমিটিতে মহিলা সদস্য না থাকায় কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা হলে যে বিশাখা নির্দেশিকা মেনে চলা হয়, তা হয়নি।
নিজেকে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে নিলে প্যানেল সদস্যরা অভিযোগকারিণীকে জানিয়ে দেয়, এবার একতরফা তদন্ত ছাড়া গতি নেই সুপ্রিম কোর্টের।
Read the full story in English