প্রধান বিচারপতিকেই বিচারপতিদের রস্টারের হর্তা-কর্তা বলে জানিয়ে দিলেন শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। দুই বিচারপতি তাঁদের রায়ে জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতির ভূমিকাকে কলেজিয়ামের অন্তর্ভুক্ত করে হিসেব করা যাবে না। তাতে মামলার দৈনন্দিন বণ্টনের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।
এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজীবী শান্তি ভূষণের দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করতে গিয়ে বিচারপতি এ কে সিক্রি জানিয়েছেন, "জনমানসে বিচারবিভাগের শ্রদ্ধাহানি এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার পক্ষে চরম বিপজ্জনক।"
বিচারপতি সিক্রি এবং অশোক ভূষণ দুটি পৃথক রায় দিলেও, একটি বিষয়ে তাঁরা সহমত। তাঁদের মতে, ভারতের প্রধান বিচারপতি মামলা বণ্টনের ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন।
আদালতে শান্তি ভূষণের আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এই রায়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের টুইটে চার বিচারপতির সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের প্রসঙ্গও তুলেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট, বিচারব্যবস্থার পক্ষে কালো দিন: নরিম্যান
শান্তি ভূষণ তাঁর আবেদনে প্রধান বিচারপতির মাস্টার অফ রস্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন মামলা বণ্টন কলেজিয়াম অথবা সমস্ত বিচারপতিদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে হোক।
এ বছরের জানুয়ারিতে চার প্রবীণ বিচারপতি, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে চেলমেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি মদন বি লোকুর, এবং বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ এক সাংবাদিক সম্মেলনে শীর্ষ আদালেতের কাজকর্মে অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এ ধরনের ঘটনা ভারতের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে বিচারপতিরা বেশ কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছিলেন।