দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন প্রাক্তন এক মহিলা কর্মী।
তদন্ত কমিটিতে ছিলেন বিচারপতি এস এ বোবডে, ইন্দু মালহোত্রা এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা ৫ মে রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় বিচারপতি বোবডের ঠিক পরবর্তী সিনিয়র বিচারপতির কাছে। প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকেও।
গত সপ্তাহে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন অভিযোগকারিণী। কিন্তু তদন্ত কমিটি স্থির করে তাঁকে ছাড়াই তদন্ত চালানো হবে। গত বুধবার তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরা দেন প্রধান বিচারপতি গগৈ।
অভিযোগে বলা হয়, যেসব বিচারপতিরা এই তদন্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত তাঁরা মানতে চাননি যে এটি কোনও সাধারণ অভিযোগ নয়, দেশের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অভিযোগ জানানোর সময়ে তাঁর কোনও আইনজীবীকে সঙ্গে রাখার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এর ফলে প্রক্রিয়া থেকে তিনি বাধ্য হয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন।
২৮ পৃষ্ঠার অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ও ১১ অক্টোবর নিজের বাড়ির অফিসে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাঁকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করা হয় বলেও অভিযোগ। রঞ্জন গগৈয়ের বাড়ির অফিসেই পোস্টিং ছিল ওই মহিলার।
তিনি বলেছিলেন রঞ্জন গগৈয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত করার পরেই তাঁর চাকরি যায়। একই সঙ্গে, দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত তাঁর স্বামী ও দেওরকেও সাসপেন্ড করা হয়। প্রধান বিচারপতি গগৈ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অবিশ্বাস্য বলে বর্ণনা করে বলেন, এ অভিযোগ অস্বীকার করাও তাঁর পক্ষে অবমাননাকর।
অভিযোগের কথা প্রথমবার প্রকাশিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ অভিযোগকে একটি যড়যন্ত্রের অঙ্গ বলে বর্ণনা করে একটি নির্দেশ দেন। সে নির্দেশে স্বাক্ষর করেছিলেন অন্য দুই বিচারপতিও।
আইনজীবী উৎসব বৈনসের দায়ের করা এক হলফনামার ভিত্তিতে গত সপ্তাহে প্রাক্তন বিচারপতি একে পট্টনায়ককে এই যড়যন্ত্রের তদন্ত করতে বলেছে এক বেঞ্চ। তাঁকে সাহায্য করবেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর, আইবি-র ডিরেক্টর এবং দিল্লি পুলিশের কমিশনার।
বিচারপতি পট্টনায়ক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, তাঁর তদন্ত শুরু হবে যৌন হেনস্থা নিয়ে আভ্যন্তরীণ হাউস কমিটির তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পর।
Read the Story in English