ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর সাজা কমানোর আর্জি মামলা থেকে সরে গেলেন প্রধান বিচারপতি বোবদে। ফলে এদিন সাজা কমানোর আর্জির শুনানি স্থগিত যায় সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নতুন বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সেখানেই সাজাপ্রাপ্ত আসামির আবেদনের শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সীলমোহর দিতেই ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লির গণধর্ষণকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তিহার জেলে। চলে এসেছে ফাঁসির দড়ি। তবে, এখনও বাঁচার আশা ছাড়েননি নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীরা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসির সাজা বহাল রাখার পরেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম এক দোষী।
আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের সাত দিনের মধ্যে প্রাণভিক্ষা করতে হবে
১৪ পাতার রিভিউ পিটিশনে নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম দোষীর দাবি,'বর্তমানে মানুষের আয়ুও কমে। আগে মানুষ হাজার বছরের বেশি বাঁচত, এখন কলিযুগ। এই যুগে মানুষের আয়ু কমে ৫০-৬০ বছরে এসে ঠেকেছে। খুব কম মানুষই ৮০-৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচেন। আয়ুই যখন কম, তখন আর মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে কী হবে।' এছাড়াও তাঁর আবেদনে উল্লেখ রয়েছে দিল্লির দূষণের কথাও। তার বক্তব্য, 'বায়ুদূষণ রাজধানী দিল্লিকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে। দিল্লির জলও বিষাক্ত। সে কথা সরকারও স্বীকারও করেছে। এই দূষণ আমাদের আয়ু দিন দিন আরও কমিয়ে দিচ্ছে। তাহলে আর ফাঁসির সাজা কেন?'
২০১৭ সালে ফাঁসির সাজা হয় নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তের। ২০১৮ সালের জুলাইতে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০১৭ সালের রায়ের পূনর্মূল্যায়ণের আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির মুনিরকা এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরে ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয় দুষ্কৃতী। মৃত্যু হয় ওই ছাত্রী। দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এক দুষ্কৃতী নাবালক হওয়ার কারণে দু’মাস জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে।
Read the full story in English