সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা থাকলে, বিনিয়োগও বৃদ্ধি পায়। তাই বিনিয়োগের প্রবাহ অব্যাহত রাখতে উন্নত বিচার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। জার্মানির ডর্টমুন্ডে ইন্দো-জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের সভায় এমনটাই জানালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারতের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। তাই উন্নত বিচারের জন্য ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার প্রতি ভরসা রাখা যায়।
কীসের ভিত্তিতে তিনি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার প্রশংসা করছেন, অনুষ্ঠানে তা-ও স্পষ্ট করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, 'এদেশে বিচার ব্যবস্থা আইনের শাসনকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেয়। এদেশের বিচার ব্যবস্থার নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা রয়েছে। সেই সাংবিধানিক শক্তির জোরেই ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা সবপক্ষের সঙ্গে সমান এবং ন্যায়সংগত আচরণ করে।'
জার্মানির ডর্টমুন্ডে 'আরবিট্রেশন ইন এ গ্লোবালাইজড ওয়ার্ল্ড - দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স' থিমের ওপর প্রধান বিচারপতি বলছিলেন। তিনি জানান, 'ভারতে সাংবিধানিক আদালত রয়েছে। হাইকোর্ট রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আছে। এই সব আদালত সরকারের প্রতিটি কাজ সাংবিধানিকভাবে পর্যালোচনা করে। সাংবিধানিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন যে কোনও আইনকে আদালত বাতিল করতে পারে। ক্ষমতাসীন স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থারও অবসান ঘটাতে পারে।'
প্রধান বিচারপতি জানান, 'ভারতীয় বিচার বিভাগ চিরকাল বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করে। পাশাপাশি, গার্হস্থ্য আদালত সালিশির মাধ্যমে পারিবারিক সমস্যাগুলোও দূর করে থাকে। মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ দেয়।' এক্ষেত্রে ভারত অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে এগিয়ে বলেই প্রধান বিচারপতি জানান।
আরও পড়ুন- বড় ঘোষণা সেনাবাহিনীর, আগের মতোই চলবে নিয়োগ, স্পষ্ট করলেন সেনাকর্তা
বিশ্বের বিভিন্ন প্রথমসারির দেশে বিচার ব্যবস্থায় সালিশির বড় ভূমিকা রয়েছে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেনের মত দেশে সালিশি বিচার ব্যবস্থার অনন্য অঙ্গ। সিঙ্গাপুরের বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও সালিশির বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সালিশিকে যুক্ত করেছে ভারত। এমনটাই জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা এতটা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তির সুবিধাগুলো বেড়েছে। দেশে বাড়ছে বিনিয়োগও।
Read full story in English