Farmers’ Movement: ফের পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হরিয়ানার হিসার জেলা। অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম এক কৃষক। জানা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদ রাম জ্যাংরার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় এই সংঘর্ষ বাঁধে। কৃষকদের অভিযোগ, ‘বিজেপি সাংসদ তাঁদের কটূক্তি করেন। এবং আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশে বেকার, মদ্যপ এবং সমাজের পক্ষে হানিকারক, এমন মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন।‘
হিসার পুলিশ সুত্রে খবর, প্রতিবাদী কৃষকদের হটানোর সময়ে ধাক্কাধাক্কিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিজেপি সাংসদের গাড়ির সামনের কাঁচ। তবে এই ঘটনার জন্য কৃষকদের অভব্যতাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। পাল্টা কৃষক নেতাদের অভিযোগ, ‘কুলদীপ রানা নামে এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছে লাঠির ঘায়ে। হিসারের এক হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।‘
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি দুই কৃষক নেতাকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। জেলার একাধিক রাস্তা ব্লক করে মিছিল বের করেছিলেন প্রতিবাদরত কৃষকরা। সেই সময় বিজেপি সাংসদ সরকারি এক অনুষ্ঠানে নারনাউন্দে গিয়েছিলেন। সেই খবর কৃষকদের কানে যেতেই তাঁরাই অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। তোলা হয় স্লোগান।। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কৃষকদের ঠেকাতে ব্যারিকেড গড়লেও ব্যর্থ হয় পুলিশ। এরপরেই স্লোগান দিতে দিতে সাংসদের গাড়ির সামনে চলে আসেন কৃষকরা।
এদিকে, চলতি মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে কৃষি আইন নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসুক কেন্দ্র। সোমবার এভাবেই হুশিয়ারি দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। প্রায় এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক সংগঠন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন। সেই সংগঠনের প্রধান মুখ টিকায়েত।
তিনি বলেন, ‘২৬ নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছে সময় আছে। তারপরের দিন থেকেই দেশের গ্রাম থেকে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে জমায়েত করা শুরু করবে। আরও সংঘবদ্ধ করা হবে আন্দোলন।’ পাশাপাশি দিল্লি সীমান্তে পথ আটকানো নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টকে বার্তা পাঠান আন্দোলনরত কৃষকরা। গাজিপুর সীমান্তের রাস্তা দিল্লি পুলিশ বন্ধ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে এমন পাল্টা মন্তব্য আন্দোলনরত কৃষকদের। প্রায় এক বছর ধরে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক সংস্থা সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। সেই সংগঠন বলেছে, ‘কৃষকরা নয়, জাতীয় সড়ক ৯ লাগোয়া রাস্তা দিল্লি পুলিশ বন্ধ করেছে। আমরা রাস্তা খুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। কোর্টের নির্দেশ মেনে সরিয়ে ফেলেছি কয়েকটি অস্থায়ী তাঁবুও।‘
এই প্রসঙ্গে এক কৃষকের অভিযোগ, ’দিল্লি পুলিশ আমাদের সঙ্গে নকশালদের মতো আচরণ করছে। আমরা দিল্লি যাব না। তাও দেখুন কীভাবে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। আমরা কোর্ট এবং সরকারের অভিযোগ শুনে ক্লান্ত।‘
তবে, সুপ্রিম কোর্টের ধমকের পরেই দিল্লি সীমান্ত থেকে ব্যারিকেড সরানো শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। গাজিপুর এবং টিকরি সীমান্ত দিয়ে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ট্রাফিক চলাচলে গতি বাড়াতে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সব অস্থায়ী ব্যারিকেড। রাস্তা থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে পেরেক এবং কাঁচ। এমনটাই দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ বলেন, ‘দিল্লি গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে যানবাহনের গতি সচল রাখতে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন