Advertisment

জলবায়ুর পরিবর্তন: সমীক্ষা বলছে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়ঙ্কর

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ অধ্যাপক ক্যামিলো মোরা বলেছেন, "গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এই গ্যাস। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম ২১০০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাসে ভরে যাবে গোটা দুনিয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি-পিক্সাবে

বিশ্ব জুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিকতম এক সমীক্ষা বলছে পরিস্থিতি যে এতটাই ভয়াবহ, এর আগে আঁচ করা যায়নি তা। জলবায়ু পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে বদলে যাচ্ছে চারপাশ, কোন দিকে এগোচ্ছে দুনিয়া, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা, বৈঠক সবই হয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ যে এতটাই অন্ধকার, ধারণা করেননি পরিবেশবিদরা।

Advertisment

গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ফলে ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৪৬৭টি উপায়ে আমাদের শরীর, খাদ্যাভ্যাস, পানীয় জল, পরিকাঠামো, অর্থনীতি,র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন উষ্ণায়ন, তাপ প্রবাহ, বন্যা, খরা, দাবানল, ঝড় সবের পেছনেই রয়েছে জলবায়ুর ক্রমশ পাল্টে যাওয়া।

এই প্রসঙ্গে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ অধ্যাপক ক্যামিলো মোরা বলেছেন, "গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এই গ্যাস। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম ২১০০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাসে ভরে যাবে গোটা দুনিয়া। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, মার্কিন মুলুকেই ২১০০-এর মধ্যে কম করে হলেও ৪ টি ভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেবে, যার আসল কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। সিডনি, লস অ্যাঞ্জেলস-এরও ছবিটা একইরকম হবে। ব্রাজিলের অতলান্তিক উপকূলের ভয়াবহতার মাত্রা হবে আরও খানিক বেশিই"।

সমীক্ষায় দেখা গেছে গ্রিন হাউজের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে ভবিষ্যতে ধনী এবং গরীব দু'ধরনের দেশেই ছেয়ে যাবে একই রকম নিকষ কালো অন্ধকারে।

Read the full story in English

Advertisment