অবৈধ খনি-কাণ্ডের তদন্তে ছত্তিশগড়ের ১৪টি স্থানে ইডির হানা। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের সহযোগীদের খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ডে অবৈধ খনি-কাণ্ডের তদন্তে ছত্তিশগড়ের ১৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বেশ কিছু হেলিওয়েট বিধায়ক ও আধিকারিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের মতে, ইডির এই অভিযান ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল সকাল ১১ টায় তাঁর বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।ইডি সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালে গড়ে ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। ইডি, 2022 সালের অক্টোবরে, ছত্তিশগড়ের শীর্ষ আমলা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে চার কোটি টাকা নগদ, কোটি টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে।
সূত্রের মতে, অভিযান চালানো হয়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ঘনিষ্ঠ বিধায়ক এবং আমলাদের বাড়িতে। সকাল ১১টায় তাঁর বাসভবনে ছাত্র সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানুয়ারি মাসেও রায়পুর, দুর্গ-ভিলাই, বিলাসপুর, সহ একাধিক এলাকায় কংগ্রেস নেতাদের-বিধায়কদের ঘাঁটিতে হানা দেয়।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ক্রমাগত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদ এবং অফিসারদের ভয় দেখানোর জন্য ইডি ব্যবহার করার অভিযোগ করেছিলেন।এর আগে ২০২২ সালে, ১১ অক্টোবর, ইডি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় সরকারি আধিকারিক ও বিধায়কদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
১৩ অক্টোবর, ইডি আইএএস সমীর বিষ্ণোই, কয়লা ব্যবসায়ী সুনীল আগরওয়াল এবং লক্ষ্মীকান্ত তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে। সূর্যকান্ত তিওয়ারি ২৯ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করেন, যাকে দশ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। ২রা ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের উপসচিব সৌম্য চৌরাসিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।