Advertisment

Farmers Protest: পাঞ্জাব-ভারতের মধ্যে সীমানা টানার চেষ্টা করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা দিয়ে আলোচনার আর্জি ভগবন্ত মানের

শনিবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় যাতে পাঞ্জাব থেকে বিক্ষোভকারী কৃষকরা রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) এবং অন্যান্য দাবির আইনি গ্যারান্টি নিয়ে কৃষকরা বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
punjab chief minister bhagwant mann

"হরিয়ানায় কি ঘটছে? তারা পাঞ্জাব সীমান্তে বেড়া লাগাচ্ছে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষকদের সাথে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করছি," মান বলেছেন। (পিটিআই ছবি)

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান পাঞ্জাব ও ভারতের মধ্যে সীমানা গড়ে না তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "হরিয়ানায় কী এমন ঘটছে? যার জন্য পাঞ্জাব সীমান্তে বেড়া দিতে হচ্ছে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ করছি । অনুগ্রহ করে ভারত-পাঞ্জাবের সীমানা নির্ধারণ করা এড়িয়ে চলুন।" পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ করে বলেছেন, "কেন্দ্রের কাছে আমার অনুরোধ কৃষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। আপনারা ভারত ও পাঞ্জাবের মধ্যে সীমানা টানবেন না। আমরা যে ঘৃণা সহ্য করছি তা ঠিক নয়।"

Advertisment

শনিবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় যাতে পাঞ্জাব থেকে বিক্ষোভকারী কৃষকরা রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) এবং অন্যান্য দাবির আইনি গ্যারান্টি নিয়ে কৃষকরা বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যারিকেড, বোল্ডার এবং কাঁটাতার স্থাপন করে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা আংশিক সিল করার ফলে যানবাহন চলাচলে প্রভাব পড়েছে, যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং যানবাহন চলাচল সীমিত করতে আধাসামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের বেশিরভাগ কৃষক ইউনিয়ন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ২০২১ সালে বাতিল হওয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে রাজি হওয়ার পরে এটি কৃষকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্ষোভ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, হরিয়ানার আম্বালা, জিন্দ, ফতেহাবাদ এবং সিরসা জেলা প্রশাসন বিশাল কংক্রিটের দেয়াল তৈরি করে পাঞ্জাবের সীমান্তের প্রায় সমস্ত প্রবেশ পয়েন্ট সিল করে দিয়েছে। পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ কাপুর বলেছেন, "আমরা কোনোভাবেই রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত হতে দেব না। কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

MSP-এর জন্য আইনি গ্যারান্টি ছাড়াও, কৃষকরা স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, কৃষি ঋণ মকুব এবং পুলিশ মামলা প্রত্যাহার এবং লখিমপুর খেরি হিংসার শিকার হওয়াদের জন্য "ন্যায়বিচার" দাবি করছে। পীযূষ গোয়াল সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পরে, কৃষকদের প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের দাবি নিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা দিল্লি পৌঁছাবে।

bhagawant maan
Advertisment