উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্য পেতে চেন্নাইয়ের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে পৌঁছেছেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনা পরিস্থিতিও ওপর কড়া নজর রাখেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে জারি মৃত্যুমিছিল, হাহাকার। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ভয়াবহ ট্রেনদুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। পাশাপাশি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল শনিবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। শুক্রবার রাতেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার বালেশ্বরের দুর্ঘটাস্থলে সাতসকালেই পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার জেরে স্থগিত করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ বছর পূর্তিরসকল অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ হয়েছে। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। কিন্তু তাতেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির মধ্যে থেকে সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেই অনুমান। ফলে উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে সেনাবাহিনী। রেল সূত্রে খবর, সাতটি এনডিআরএফ দল, পাঁচটি ওডিরাএফ দল এবং ২৪টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, স্থানীয় পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেম্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলা থেকে সহায়তার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে, ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রত্যেক মৃতের আত্মীয়কে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটারে জানিয়েছেন যে, মৃতদের পরিবার ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অপেক্ষাকৃত কম আঘাতপ্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন।