ট্রেন দুর্ঘটনার পরে দেহগুলি রাখার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল বাহানাগা হাইস্কুলকেই। এবার সেই স্কুল্ভবনকে পুনর্গঠনের জন্য ২.৫২ কোটি টাকা মঞ্জুর করা মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক । বৃহস্পতিবার বহানাগা হাইস্কুলের পুনর্গঠনের জন্য ২.৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ প্রথমে এই স্কুলেই রাখা হয়েছিল। এর পরই পুরো স্কুলটি ভেঙে ফেলা হয়।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বৃহস্পতিবার বাহানাগা হাই স্কুলের পুনর্গঠনের জন্য ২.৪৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন। বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল এই স্কুলেই। এর পরই পুরো স্কুলভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। এখন মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালযয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বিদ্যালয় ভবন পুনর্গঠনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল (সিএমআরএফ) থেকে ২.৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
এবিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, 'বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি (এসএমসি) ভবনটি পুরানো এবং নিরাপদ নয় বলে ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও স্কুলের শ্রেণীকক্ষে মৃতদেহগুলি রাখার কারণে অনেক পড়ুয়ারাই আর স্কুলে আসতে চাইছে না। অভিভাবকরা ভবনটি ভেঙে ফেলারও দাবি করেছেন, কারণ হিসাবে তারা জানিয়েছেন সেই স্কুল ভবন শিশুমনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে'।
স্থানীয় মানুষদের অনুরোধের ভিত্তিতে, মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েক মুখ্য সচিব সহ ঊর্ধ্বতন সরকারী আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন এবং স্কুল ভবনটি পুনর্গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন। তারা জানিয়েছে, গ্রীষ্মের ছুটির পর বুধবার থেকে আবার চালু হয়েছে স্কুল ।
২ জুন ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মোট ২৮৮ জনের মৃতদেহ এই স্কুলে রাখা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার স্কুলটিকে স্মার্ট স্কুল হিসাবেই গড়ে তুলতে চায়। স্কুলভবনটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই স্কুলে এই মুহূর্তে ৫৬৫ জন পড়ুয়া রয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১১২ জন বুধবার প্রথম দিন ক্লাসে আসে বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।