সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে হরিয়ানায় ৬ জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার রাজ্যে শান্তি ফেরাতে বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরও চার কোম্পানি মোদী সরকারের কাছে চেয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের এক ব্যাটালিয়ন হিংসা-বিধ্বস্ত নুহতে মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যেই ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী হরিয়ানায় মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি মোতায়েন করা হয়েছে নুহতে। তিনটি পালওয়ালে, দুটি গুরুগ্রামে এবং একটি ফরিদাবাদে। সাংবাদিক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার আরও জানান যে, নুহতে সোমবারের সংঘর্ষের পর থেকে মোট ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৯০ জনকে আটক করা হয়েছে।
মনু মানেসার নামে পরিচিত স্বঘোষিত গোরুর তত্ত্বাবধায়ক মোহিত যাদবের এই হিংসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সিএম খাট্টার বলেন, 'রাজস্থান সরকার বজরং দলের মনু মানেসারের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। আমরা তাঁদের বলেছি যে তাঁকে খুঁজতে। যা সাহায্যের প্রয়োজন তা আমরা দেব।' ভিওয়ানিতে জুনায়েদ ও নাসির হত্যার অভিযুক্ত মনু মানেসার অবশ্য এর মধ্যেই একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছেন যে তিনি নুহ যাত্রায় অংশ নেবেন বলেছিলেন। তবে তিনি হাজির হননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হরিয়ানার পুলিশ প্রধান পিকে আগরওয়াল জানিয়েছেন, হিংসার মামলাগুলোর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হবে। গোটা ঘটনায় মানেসারের ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সরকারের আইআইএম বিল কেন স্বায়ত্তশাসন নষ্টের আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে?
এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষকে হরিয়ানায় সোমবারের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের প্রতিবাদে হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা আয়োজিত সমাবেশে কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনও বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা নেই, তা নিশ্চিত করতে বলেছে। তার মধ্যেই প্রশাসনের হয়ে কার্যত সংঘ পরিবারের বিরুদ্ধে গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা। নুহতে মিছিলের আয়োজন করেছিল বজরং দল। কার্যত তার বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলে দুষ্মন্ত বলেছেন যে, আয়োজকরা ভিড়ের সঠিক অনুমান প্রশাসনকে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তার জন্যও হিংসা ছড়াতে পারে। মিছিলের আয়োজকরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা কত হবে, সে সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি। কোথাও না-কোথাও তথ্যের অভাব নিশ্চয়ই ঘটেছে। তার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই চৌতালা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, অতীতে হরিয়ানার ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।