এ বছর থেকেই ভারতীয় রেলে আর জমাদার থাকবে না। সাফাইকর্মী, ধোপা, চৌকিদার কেউ থাকবে না আর। সবাই হবেন সহায়ক। একেক বিভাগের আলাদা আলাদা সহায়ক থাকবে ভারতীয় রেলে।
উপনিবেশিক শাসন মুছে গেলেও তার প্রভাব আমাদের দেশে বড়ই প্রকট। ব্রিটিশ শাসনের ছায়া থেকে বেরোতে সাত দশকেরও বেশি সময় লেগে গেল। গত মাসে রেলের কর্মী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয় রেল পর্ষদ।
![]()
এর ফলে রাধুনি কিম্বা কুক, ওয়েটার এখন থেকে হয়ে যাবে সহায়ক বা অ্যাসিস্টেন্ট (ক্যাটারিং)। ওয়াশ বয়, চা-কফি-চাপাটি বানান যারা, তাঁরা সবাই অ্যাসিস্ট্যান্ট (ক্যান্টিন)।
সহায়কের তালিকা বানাতে গিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ দেখল এমন কিছু পদ রয়েছে, যা রয়েছে ১৮৫৩ সাল থেকেই, যে বছর ভারতে প্রথম রেল চলাচল শুরু হল, তখন থেকেই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ পরিবর্তিত হয়েছে ফাইন্ডার, লিফটার, রেকর্ড সর্টার, সন্দেশবাহক/ মেসেঞ্জার। এরা হয়ে যাবেন জেনারেল অ্যাসিসটেন্ট।
আরও পড়ুন, বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণের নির্দেশে শিলমোহর
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, "কাজের চরিত্র, বেতন, নিয়োগের শর্ত ইত্যাদি অপরিবর্তিতই থাকছে"।
রেল কর্মী সংগঠন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন'জ ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল শিবগোপাল মিশ্র জানালেন, "কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। বেশ কিছু পদের কোনও প্রয়োজনীয়তা আজকের দিনে নেই, এমনটা মনে করছিলেন অনেকেই। সম্মানের প্রশ্ন এটা"।
রেল পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী রেলের গ্রুপ ডি পদের সমস্ত ব্যাক্তি অভিন্ন বেতন ক্রমের আওতায় পড়েন।
Read the full story in English