কম্বোডিয়ার রিম নৌ ঘাঁটি। এই বন্দর বাড়াতে সাহায্য করছে চিন। এখানে এতদিন ১,০০০ টনের জাহাজ আসত। নতুন বন্দর তৈরি হলে সেখানে ৫,০০০ টনের জাহাজ চলাচল করতে পারবে। এখানে শুকনো ডক তৈরি হবে। যেখানে জাহাজ মেরামতির ব্যবস্থা থাকবে। বর্ধিত ঘাট তৈরি হবে। যেখান দিয়ে সমুদ্রে নামা যাবে। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, রিসেপশন বিল্ডিং। আর, গোটাটাই তৈরিতে সাহায্য করছে চিন। তারা এখানে বিনিয়োগ করছে। কারিগরি ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাচ্ছে। আর, তা নিয়েই যত সমস্যা।
আমেরিকা ইতিমধ্যেই এই বন্দর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ, এই বন্দর থাইল্যান্ড উপসাগর সংলগ্ন। কাছাকাছি দক্ষিণ চিন সাগর। যেই সাগরকে বরাবর নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে চিন। আর বিরোধিতা করেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের দাবি, এটা আন্তর্জাতিক জলসীমা। তাতে চিনের একাধিপত্য থাকতে পারে না। আমেরিকার আশঙ্কা, বন্দর তৈরিতে সহায়তার নামে আসলে রিম নৌ ঘাঁটিকে চিনের জলসীমান্তের ছাউনি করে তুলতে চাইছে বেজিং।
অতীতে, কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসক হুন সেন চিনকে এই বন্দরে নৌ ঘাঁটি তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। সেটা ২০১৯-এর কথা। তবে, সেসবের পালা অনেকদিন আগেই চুকেছে। তবুও, এই বন্দর তৈরিতে চিনের হাত দেখে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে আমেরিকা।
কম্বোডিয়ার রাজধানী নম পেনের মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্তেফানি আর্জেট এই প্রসঙ্গে বলেন, 'রিম-এ বন্দর তৈরির কাজে চিনা সেনার উপস্থিতি কম্বোডিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগী দেশগুলো ইতিমধ্যে এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই বন্দর তৈরিতে চিনের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। তারা কীভাবে এখানে কাজ করবে তা-ও স্পষ্ট নয়। আর বন্দর বাড়ানোর পর সেখানে চিনের সেনার ভূমিকা কী হবে, তা-ও অস্পষ্ট।'
আরও পড়ুন- সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা অফিসে থাকতেই হবে, মাস্কের হুঁশিয়ারিতে দিশাহারা টেসলার কর্মীরা
যদিও কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি বান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, 'আমেরিকার এনিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই। তারা চাইলে সকলের সঙ্গে এসে দেখে যেতে পারে যে কীভাবে কাজকর্ম চলছে। বন্দরটা খুবই ছোট ছিল। তাই এটাকে বাড়ানো হচ্ছে। এটা কোনও দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে না। তবে, বন্দর একবার তৈরি হয়ে গেলে সেখানে ভিনদেশের সেনার জাহাজ ঢুকতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে, অনুমতি ছাড়া বিদেশিদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।'
Read full story in English