খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা নিয়ে কয়েক মাস বিতর্কের পর কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে এনেছে। জাস্টিন ট্রুডোর দেশ বলেছে যে তারা ২০১৯ এবং ২০২১ সালের শেষ দুটি সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করবে।
গত বছর কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আনে। একই সঙ্গে এ বছর জাস্টিন ট্রুডোর দেশ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। কানাডা বলেছে যে তারা তার ২০১৯ এবং ২০২১ ফেডারেল নির্বাচনে ভারতের কথিত জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত করতে প্রস্তুত।
কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। তদন্ত কমিশনকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও, তখন তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নির্বাচনে চিন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এখন উঠে এসেছে ভারতের নাম। বুধবার জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত কমিশন ভারতের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারই প্রেক্ষিপ্তে ভারতের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করতে চলেছে ট্রুডোর দেশ।
কানাডার সরকার বিশ্বাস করে ভারত সেদেশের সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। কানাডিয়ান কমিশন অফ ইনকোয়ারি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা জাস্টিন ট্রুডো সরকার এই অভিযোগগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত ও ইরানকেও সম্ভাব্য বিদেশী হস্তক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচনা করছে ট্রুডোর দেশ।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত বছর শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেছিলেন। তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন যে নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত ছিল। যদিও ভারত প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারত বলেছিল, ট্রুডোর বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই বক্তব্যের পর ভারত ও কানাডার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়। উল্লেখ্য গত বছরের ১৮ জুন কানাডার একটি গুরুদ্বারের বাইরে গুলি করে খুন হন হরদীপ সিং নিজ্জার।