সিবিআই-এ অব্যাহত অলীক কুনাট্য রঙ্গ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অলোক ভার্মার সিবিআই ডিরেক্টর পদে পুনর্বহালের আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে ফের নাটকীয় ভাবে অপসারিত ভার্মা। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে সিলেক্ট কমিটির বৈঠকে ২-১ ভোটে ভার্মাকে অপসারিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ভার্মার পক্ষে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও সংসদে বিরোধীপক্ষের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের প্রতিনিধিস্বরূপ উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এ কে সিক্রি।
অপসারণের নির্দেশ
সরকার বিরোধী মহলের মতে, তড়িঘড়ি ভার্মাকে সরানোর পিছনে রয়েছে রাফালে চুক্তি মামলায় তাঁর ভূমিকা, এবং মোদীর বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর দায়ের করবেন, সেই "ভয়"।
বুধবার রাতেও বৈঠকে বসে ওই উচ্চপদস্থ কমিটি, কিন্তু সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন নি। আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আগে খাড়গে বলেছিলেন তিনি কিছু নথি চেয়েছেন, যেগুলির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যানস কমিশনের তদন্তের রিপোর্ট।
আরো পড়ুন: সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মা; নিয়োগ-অপসারণ-পুনর্বহাল
"আমি সরকারের কাছে এ বিষয়ে কিছু নথিপত্র চেয়েছি, সিভিসি-র তদন্তের রিপোর্টও চেয়েছি," সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে জানান খাড়গে। তিনি আরও বলেন, যে ভার্মাকে কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।
এর আগে ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে পদে বহাল করার নির্দেশও দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর সাড়া পড়ে যায় সরকারি মহলে। ভার্মার ভবিষ্যৎ স্থির করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিলেক্ট কমিটির বৈঠক ডাকার উদ্যোগ নেয় সরকার।
সূত্র মারফৎ জানা যায়, দ্রুত বৈঠকে বসার জন্য সিলেক্ট কমিটির সদস্যদের সময় চাওয়া হয় সরকারের তরফে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে সময় চাওয়া হয়। যে কমিটি সিবিআই ডিরেক্টর কে হবেন তা স্থির করে এবং তাঁকে নিয়োগ করে, খাড়গে সেই কমিটির সদস্য। জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় খুঁটিয়ে দেখার জন্য সময় চান তিনি। কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা বৈঠকের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চান বলে জানিয়েছিলেন।