'গুরত্ব সহকারে' অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কংগ্রেসকে জবাব ফেসবুকের

'ফেসবুক পক্ষপাতহীন একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে জনগণ তাঁদের মতামত নির্দিধায় প্রকাশ করতে পারেন।'

'ফেসবুক পক্ষপাতহীন একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে জনগণ তাঁদের মতামত নির্দিধায় প্রকাশ করতে পারেন।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
facebook

প্রতীকী ছবি।

ভারতে বিজেপির প্রতি ফেসবুক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে’, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন সামনে আসার পর এ অভিযোগ জানিয়ে এবার ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছিল কংগ্রেস। তারই জবাব দিয়েছে ফেসবুক। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি-র পক্ষ থেকে নেইল পটস জানিয়েছেন, 'ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তোলা উদ্বেগ ও সুপারিশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।'

Advertisment

ভারতে ফেসবুক লিডারশিপ টিম কীভাবে কাজ চালায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে ফেসবুক সিইও-কে চিঠি লিখেছিলেন কে সি বেণুগোপাল। এ সম্পর্কে অবশ্য কোনও শব্দ খরচ করেননি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

পটস জানিয়েছেন, ফেসবুক 'পক্ষপাতহীন' একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে জনগণ তাঁদের মতামত নির্দিধায় প্রকাশ করতে পারেন। কংগ্রেসকে দেওয়া ফেসবুকের জবাবে উল্লেখ, 'পক্ষপাত-দুষ্ট এই অভিযোগ আমরা থুবই গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব। স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা সব ধরনের ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিরোধী। আপনি ও আপনার দলের অন্যান্যদের সঙ্গে শেষ আলোচনায় আমরা আমাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড, নীতি জানিয়েছিলাম। মহামারীর সময়ও আমাদের নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ধর্ম, জাতি, জাতীয়তাবাদ সহ একাধিক বিষয়ের উপর কোনও জনপ্রতিনিধি বা পাবলিক ফিগারের মন্তব্য ফেসবুক অনুমোদন করে না। কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য থাকলে তা আমরা বাতিল করি। এক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রভাব বিবেচ্য নয়।'

ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে শুধুমাত্র চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লক্ষ পোস্ট মুছে দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে শেষ ত্রৈমাসিকের মুছে ফেলা হয় এক কোটি ৬০ লক্ষ। অর্থাত্ হিংসা ছড়ানোর রুখতে ফেসবুক যে আরও তত্পর তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisment

উল্লেখ্য়, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাণিজ্যিক কারণে ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ রুলস’ লাগু করেননি। আমেরিকার ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন। কারণ, ব্যবস্থা নিলে এ দেশে ব্যবসায় ধাক্কা খেতে পারে সংস্থা। তারপর থেকেই ফেসবুকের ‘বিজেপি-ভীতি’ ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Facebook CONGRESS