/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/nodal-tankha-2col.jpg)
কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তানখা।
রাজ্যসভায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তানখা। তিনি বলেন বছরের পর বছর ধরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ দুর্দশা দূর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সেভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শুধু সিনেমার পর্দায় নয়। বাস্তবেও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। এই মর্মে তিনি রাজ্যসভায় একটি বিল পেশ করেন। এর পাশাপাশি কাশ্মীরি পন্ডিতদের তাদের সম্পত্তির সুরক্ষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের পুনর্বাসন ও পুনর্বাসনের প্যাকেজের ব্যবস্থার আর্জিও জানিয়েছেন তানখা।
তিন দশক আগে উপত্যকা থেকে কাশ্মীর পণ্ডিতদের নির্বাসন নিয়ে বিতর্ক চলছে। এমন সময় 'কাশ্মীরি পণ্ডিতস'(২০২২) বিলটি সামনে আসে যখন দ্য কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির পর থেকেই সেটিকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকেই এই সিনেমাকে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের মাধ্যম হিসাবে তুলে ধরেছেন। বিলে যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, 'কাশ্মীরি পন্ডিতদের সংখ্যালঘু মর্যাদা প্রদান', তাদের 'গণহত্যার শিকার' হিসাবে ঘোষণা করা, তাদের অবিলম্বে 'বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি' হিসাবে ঘোষণা করা এবং উপত্যকার সমস্ত ঘটনার নথিভুক্ত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যেটি " কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নৃশংসতা ও দুর্দশার সঙ্গে সম্পর্কিত” । তানখা জানিয়েছেন ৩২ বছরের মধ্যে এই ধরণের বিল এই প্রথম।
আরো পড়ুন: সংক্রমণ তলানিতে, Covaxin উৎপাদন কম করার সিদ্ধান্ত ভারত বায়োটেকের
বিলটি উল্লেখ করেছে ৩২ বছর আগে, ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারির রাতে কাশ্মীরে যা ঘটেছিল, তার স্মৃতি আজও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মনে টাটকা। ৬ লাখেরও বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত এখনও নির্বাসনে রয়েছেনএবং তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে দেওয়ারও সুপারিশও করা হয়েছে এই বিলে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে গতকালই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বৃহস্পতিবার “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” ছবি নিয়ে প্রথম বারের জন্য মুখ খুললেন। তিনি বলেন ‘এই ছবি দেশে মিথ্যাচার এবং দেশের মধ্যে এক বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে’। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই জাতীয় সিনেমাকে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত হয়নি’।
কাশ্মীর বিতর্কে জওহরলাল নেহরুকে টেনে আনার জন্যও বিজেপির সমালোচনা করেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, ““ভিপি সিং সরকারকে বিজেপি সমর্থিত করেছিল। মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জগমোহন, যিনি পরে দিল্লি থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন,”।
Read in English