Farm Law Repeal: শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। গুরু নানক জয়ন্তীর সকালে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কৃষকদের কাছে। তারপরেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নেমেছে বিরোধী দলগুলো। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী সব দলই এই সিদ্ধান্তকে কৃষক আন্দোলনের জয় হিসেবে দেখছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি এদিন ট্যুইটে লেখেন, ‘কেন্দ্রের অহঙ্কারের বিরুদ্ধে কৃষকদের সত্যাগ্রহের জয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে আসা এই জয়কে অভিনন্দন।‘ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতেই কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেছিলেন, কৃষি আইন নিয়ে পিছু হটবে কেন্দ্র। আমার কথা লিখে রাখুন।‘ সেই ভিডিও এদিন তাঁর করা ট্যুইটের সঙ্গে পোস্ট করেছেন রাহুল গান্ধি।
একইভাবে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে আগামি ভোটে পরাজয়ের গন্ধ পেয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘আপনার দলের নেতা মন্ত্রীরা এই কৃষকদের দেশদ্রোহী, গুন্ডা, সন্ত্রাসবাদী বলেছে। আপনি নিজের কৃষকদের আন্দোলনজীবী বলেছেন এখন আপনার কথা কীভাবে ভরসা করব? প্রায় এক বছর ধরে চলা আন্দোলনে ৬০০-র বেশি কৃষক শহিদ হয়েছেন। পুলিশ এঁদের লাঠিপেটা করেছে। আগামি ভয়ে পরাজয়ের গন্ধ পেয়ে আপনি বুঝতে পারলেন এই দেশ কৃষকদের তৈরি!’
কৃষকদের পাশাপাশি এই জয়ের সমান ভাগীদার কংগ্রেসও। এদিন মন্তব্য করেন পি চিদাম্বরম। তাঁর দল প্রথম থেকেই তিন আইনের বিরোধিতা করেছে। এদিন জানান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। পৃথক ট্যুইট করে কংগ্রেস লিখেছে, ‘ভেঙে গিয়েছে অহঙ্কার, জিতে গিয়েছে কৃষক আন্দোলন।‘ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘কৃষকদের এই আত্মত্যাগ থেকেই আগামি প্রজন্ম নতুন কিছু শিখবে।‘
সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য, ‘কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মনোভাবের জন্য কৃষকদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। ৭০০-র বেশি কৃষকদের আত্মবলিদান আমরা ভুলবো না। সরকার যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা রুজু করেছে, এই জয় তাঁদের।‘
তিন কৃষি আইন বাতিলকে সমর্থন জানিয়েছে শিব সেনা, অকালি দলে মতো প্রাক্তন এনডিএ শরিকরাও। তবে এখনই আন্দোলনের রাশ আলগা করতে চাইছেন না কৃষক নেতারা। সংসদে শাসক দলের আচরণ কেমন থাকে! সেটা পর্যালোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কৃষক সংগঠনগুলো। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানান তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন