Karnataka: বিধায়কের ধর্ষণ মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়াল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ট্যুইটারে কংগ্রেস বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনায় সরব। তিনি লেখেন, ‘অগ্রহণযোগ্য আচরণ। কংগ্রেস দল বিধায়কের এই মন্তব্যকে খারিজ করছে। কর্নাটক বিধানসভায় বিধায়ক এবং অধ্যক্ষর কথোপকথন অসংবেদনশীল। বিধানসভার অভিভাবক অধ্যক্ষ এবং জনপ্রতিনিধি বিধায়ক। তাই দু’জনের উচিত এই ধরনের আচরণ থেকে নিজেদের বিরত রাখা।‘
তবে শুধু কংগ্রেস নয়, বিধায়কের মন্তব্যে সুর চড়িয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা বলেন, ‘গোটা ঘটনাই দুর্ভাগ্যজনক। এমন জনপ্রতিনিধি আছেন, যারা চূড়ান্ত নারীবিদ্বেষী এবং মহিলাদের অন্য চোখে দেখেন। বিধানসভায় বসে যদি এই মন্তব্য করেন, তাহলে মহিলাদের প্রতি কেমন আচরণ করবেন?’
এদিন সংসদে বিধায়কের মন্তব্যের বিরোধিতা করে সোচ্চার হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। পাশাপাশি বিজেপি মুখপাত্র সিটি রবির ট্যুইট, ‘রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি কি এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন? ওরা কি সেই বিধায়কের পদত্যাগ দাবি করবেন?’
ঠিক কী বলেছেন সেই বিধায়ক, যা ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতেও শোরগোল। মহিলাদের নিয়ে চরম অবমাননাকর মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার অধিবেশন চালাকালীন বলে বসেন, ‘ধর্ষণ অনিবার্য, শুয়ে পড়ুন এবং উপভোগ করুন। যখন কিছু করার নেই তখন আপনি যে অবস্থানে রয়েছেন সেটাই ঠিক।’ এই কথা শুনে ভাইরাল ভিডিও-তে হাসতে দেখা গিয়েছে কর্নাটক বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরিকে। পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে টুইট করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার।
বিজেপি শাসিত কর্নাটকে কৃষকদের নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য সোচ্চার হয়ে সময় বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা। তখন স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে জানান, সবাইকে বলার সময় দিলে অধিবেশনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে অধিবেশনের কাজ বিধায়ককরা নিজেরাই ঠিক করুক। এরপরই প্রাক্তন স্পিকার কুমারের দিকে তাকান বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি। তিনি বলেন, ‘আমি অবস্থার বদল ঘটাতে পারব না। সুতরাং উপভোগ করন।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন