Pegasus Snooping Case: কংগ্রেসকে ‘গুপ্তচরবৃত্তির জেমস বন্ড’ বলে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস যখন সরকারে ছিল তখন গুপ্তচরে জেমস বন্ড ছিল। এখন সংসদের সময় নষ্টের খেলায় মেতেছে।‘ তাঁর অভিযোগ, ‘কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলো অভিযোগ নিয়ে হল্লা করছে এবং পালিয়ে যাচ্ছে।‘
বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত যেকোনও বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত সরকার। সরকার এবং বিরোধীপক্ষের যে মধ্যে যে টানাপড়েন সেটা দ্রুত মিটবে। এবং সংসদ চালাতে ভূমিকা নেবে।‘
এদিকে, পেগাসাস-কাণ্ডে সিট গঠন সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে আগামি সপ্তাহেই হবে।প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের এজলাসে এই শুনানি হবে। এই বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতি সূর্যকান্ত। সম্প্রতি পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। আঁড়িপাতা-কাণ্ডে সংসদে আলোচনা চেয়ে বাদল অধিবেশনে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা। যদিও পেগাসাস নন-ইস্যু, এই দাবি করে বিরোধীদের আবেদন খারিজ করেছে মোদী সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কিংবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সিট গঠন করে এই কাণ্ডের তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সাংবাদিক এন রাম, শশী কুমার এবং সিপিএম সাংসদ জন বৃত্তাস পৃথক ভাবে তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই তিনটি আবেদনকে এক করে এই শুনানি চলবে। এমনটাই শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর।
এই মামলায় এন রাম এবং শশী কুমারের আইনজীবী কপিল সিব্বাল আবেদনে অভিযোগ করেছেন, ‘নজরদারির মাধ্যমে নাগরিক অধিকার খর্ব হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা, সাংবাদিক এবং বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের উপরেও এই নজরদারি চলেছে। পেগাসাস কাণ্ডের জেরে দেশ-সহ বিদেশেও জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন