সরকার ধুমধাম করে টিকা উৎসব করলেও ছিল না ভ্যাকসিন জোগানের আয়োজন। এভাবেই বুধবার কেন্দ্র সরকারকে বিঁধলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিন কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদক রাষ্ট্র। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ১২ এপ্রিল টিকা উৎসব পালন করেছে। কিন্তু টিকা সরবরাহের আয়োজন করেনি। তাই ৩০ দিনের মধ্যে দেশের টিকাদানের হার ৮২% কমেছে।‘
এমনকি, টিকাকরণের নিরিখে ভারত ইউএস, ইউকে, ফ্রান্স, তুরস্কেরও পিছনে। একটা গ্রাফ তুলে ধরে এই দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর খোঁচা, ‘মোদীজি টিকা তৈরির কারখানা ঘুরেছেন, ছবি তুলেছেন কিন্তু প্রথম টিকার বরাত কেন চলতি বছর জানুয়ারিতে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার?’
এদিকে, টিকাকরণের প্রথম দিকে ৬.৬ কোটি ভ্যাকসিন রপ্তানি বড় ভুল সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের টিকা নীতির সমালোচনায় সরব দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার মনীশ সিসোদিয়া উদ্বেগের সুরে বলেন, ‘ভারত বায়োটেক আমাদের কোভ্যাক্সিনের বরাত খারিজ করেছে। টিকার অভাবে আমরা ১৭টি স্কুলের ১০০টি টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি।‘
এদিন ট্যুইটে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের চিঠির জবাব দিয়েছে ভারত বায়োটেক। তারা বলেছে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে কোন রাজ্যকে কত টিকা সরবরাহ করা হবে।’ এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত ৩,৪৮, ৪১২১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩,৫৫, ৩৩৮ জন। দেশে মোট সংক্রমিত ২,৩৩,৪০,৯৩৮, সক্রিয় সংক্রমণ ৩৭,০৪,০৯৯। মোট মৃত্যু ২,৫৪,১৯৭, এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১,৯৩,৮২,৬৪২ জন।
অপরদিকে, টিকার দ্বিতীয় ডোজকে অগ্রাধিকার দিন। রাজ্যগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে এই অনুরোধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন মঙ্গলবার টুইটারে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই নয়া টিকা-নীতির কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মন্ত্রকের তরফেও এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
হর্ষ টুইটারে লেখেন, ‘প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ২টি কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিতীয় টিকা প্রদানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং টিকার অপচয় বন্ধ করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।‘ যাঁরা প্রথম টিকা নিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, ‘কোনও অবস্থাতেই দ্বিতীয় টিকা নেওয়া থেকে বিরত হবেন না।‘