পাকিস্তানে বিয়ের আসরে আমন্ত্রিতদের অতিথি সংখ্যা নির্দিষ্ট রয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জনকে নিমন্ত্রিণ করা যায়। বিধি কার্যকরে রয়েছে পাক আইনও। এবার ভারতেও একই আইন আনার দাবি তুললেন পাঞ্জাবের খাদুর সাহিবের কংগ্রেস সাংসদ জসবীর সিং গিল। অপচয় রুখতে বিয়েতে খাওয়াদাওয়াও সীমীত করার পক্ষে তিনি।
লোকসভায় জিরো আওয়ারে ভাষণের সময় বিয়ের আসরে নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা নির্ধিষ্ট করার পক্ষে দাবি জানান জসবীর গিল। তাঁর কথায়, এই ধরনের আইনের জন্য সরকারের কিছু খরচ হবে না। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ইতিমধ্যেই এই আইন বিদ্যমান। এই ধরণের আইন কার্যকর হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের শুভেচ্ছা সরকারের প্রতি বর্ষিত হবে বলে মনে করেন এই কংগ্রেস সাংসদ।
জসবীর সিং গিল বলেছেন, 'বিবাহে অর্থ এবং সম্পদের অপচয় সীমিত করার জন্য এই ধরনের আইনের প্রয়োজন। এছাড়া এই আইন বলে ভারতের জনগণও বাঁচাবে।'
বিয়ের অনুষ্ঠানে জাঁকজমক ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ। বহু মানুষকে আমন্ত্রণ করা হয়ে থাকে, সঙ্গে থাকে বহু পদের আয়োজন। কংগ্রেস সাংসদ গিল তাঁর বক্তব্যের সময় একটি বিয়ের আসরের মেনু কার্ড সঙ্গে এনেছ্লেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ২৮৯টি পদের উল্লেখ রয়েছে, একটি প্লেটের দাম আড়াই হাজার টাকা। অতিথিদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করা ছাড়াও, বিয়ের ভোজে পরিবেশিত খাবারের পদের সংখ্যা সর্বাধিক ১১-র বেশি হওয়া উছিত নয় বলেও দাবি করেছেন গিল।
কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য শুনে লোকসভার স্পিকার বলেছেন, 'পরিবর্তনের জন্য জনপ্রতিনিধিদেরই এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যাঁরা জনপ্রতিনিধি হয়ে সাংসদ হিসাবে এসেছি আমাদেরই সেটা শুরু করতে হবে। তবেই দেশবাসী তা মেনে চলবে। তবে এক্ষেত্রে আইন নয়, মানুষের ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন।'
Read in English