লাদাখে চিনা আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ছে। দু'দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমরাস্ত্র ও সেনা মোতায়েন বাড়াচ্ছে। এই ইস্যুতে এবার পরোক্ষে সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টির পথে হাঁটলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহল গান্ধী। সীমান্তে ইন্দো-চিন উত্তেজনা প্রসঙ্গে ভারত সরকারের কাছ থেকে জবাবদিহি দাবি করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
Advertisment
শুক্রবার টুইটে তিনি লেখেন, 'চীনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরবতা সংকটের সময়ে নানান জল্পনা ও অনিশ্চয়তায় জ্বালানী সঞ্চার করছে। প্রকৃত কি ঘটনা ঘটেছে, ভারত সরকার তা জানাক।' ভারত-চিন সংঘাতের যে খবর প্রকাশ্যে এসেছে- তার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী।
The Government’s silence about the border situation with China is fueling massive speculation and uncertainty at a time of crisis.
GOI must come clean and tell India exactly what’s happening.
সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে প্যাগং এলাকায় মুখোমুখি ভাবে অবস্থান করে ভারতীয় ও চিনা সেনা। লাদাখে অচলাবস্থা নিয়ে ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ৬ দফায় আলোচনার প্রয়াস চালানো হয়, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উপর বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এর পাল্টা হিসেবে বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে ভারতও।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের আবাহ তৈরি হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির উদ্দেশে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-র এর আগে স্পষ্ট বার্তায় জানান, 'চরম সংকটের পরিস্থিতির কথা আগাম ভেবেই সেনার প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করত হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্বার্থকে সবার আগে রক্ষা করা প্রয়োজন।' ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গেও দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর তিন প্রধানের আলোচনা হয়। জানা যায় ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যতক্ষণ চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বেশি সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে, ভারতও পাল্লা দিয়ে সেনা-যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে। ভারতীয় সেনা কোনও মতেই পিছ-পা হবে না।
এই উত্তেজনায় ঘি ঢালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারত-চিন মধ্যস্থতা প্রস্তাব। টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'ভারত ও চিন দু'দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা প্রস্তুত, সীমান্তে বিবাদ নিয়ে মধ্যস্থতা করতে আমরা ইচ্ছুক'। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট। নয়া দিল্লির তরফে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'সীমান্তে পরিস্থিতি পরিচালনায় আমাদের সৈনিকরা দায়িত্বশীলভাবে পদক্ষেপ করেছেন এবং সীমান্তে যে কোনও সমস্যা সমাধানে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল মেনেছেন তাঁরা'। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ৪ঠা এপ্রিলের পর মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের আর কোনও কথা হয়নি।