লোকসভা নির্বাচনে কেরালায় ২০টির মধ্যে ১৯টি আসন জিতে নিয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট। সে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি রমেশ চেন্নিথালা আগেই বলেছিলেন, "শবরীমালা নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থানের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। এই রাজ্যে আমাদের বিপুল জয়ের মূল কারণ এই ইস্যু"। ঋতুস্রাবী মহিলাদের শবরীমালার প্রবেশের বিধি নিষেধের বিষয়ে নতুন আইন আনবে কংগ্রেস এমনটাই জানান হয়।
প্রস্তাবিত আইনটির খসড়া প্রকাশ করেছে এমনকি এলডিএফ সরকার। শুক্রবার তাঁর সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নন-কমিটি ছিলেন এবং পুনরাবৃত্তি করে যে তারা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নয়-বিচারকের বেঞ্চের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন।
শনিবার দলটির পরিকল্পিত সাবারিমালা আইনটির খসড়া প্রকাশকারী কংগ্রেস সিনিয়র নেতা তিরুভানচুর রাধাকৃষ্ণান বলেন, “কংগ্রেস মন্দিরে পুরানো ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আইন চায়। প্রস্তাবিত আইন অনুসারে ঐতিহ্য লঙ্ঘন বা ঐতিহ্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো যে কোনও আইনকে বোধগম্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। এটি শবরীমালা আইয়াপ্পা ভক্তদের (ধর্মীয় অধিকার, শুল্ক ও ব্যবহারের সুরক্ষা) আইন, ২০২১ নামে পরিচিত হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েরই এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে। যদি ক্ষমতায় আসি কেরালায় কংগ্রেস একটি আইন প্রবর্তন করবে মন্দিরে রীতিনীতি রক্ষার আইন। কংগ্রেস বলেছে যে এই নতুন আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দুই বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি বহন করবে।
যদিও কয়েক বছর আগে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘শবরীমালা নিয়ে এক তরফা অবস্থান নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বিষয়টা যথেষ্ট জটিল। মহিলাদের সমানাধিকার থাকা উচিত, এটাও যেমন সত্যি, তেমনই পরম্পরাও রক্ষা করা দরকার।’’
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন