কার্যত বিজেপির হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (স্বাধীন) বা উলফায় যোগ দিলেন অসম কংগ্রেসের এক যুব নেতা। সাধারণত, জঙ্গি সংগঠন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সাক্ষী থেকেছে ভারত। এমনকী, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদানের সংখ্যাও নেহাত কম না। কিন্তু, প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ছেড়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগদান? এমন ঘটনার নজির অতীতে তেমন একটা নেই। কার্যত সেই খারাপ নজির তৈরি করেই উলফায় যোগ দিলেন জনার্দন গগই নামে বছর ২৯-এর ওই যুব নেতা।
তিনসুকিয়া জেলার ওই নেতা আপার অসমের সাদিয়া অঞ্চলে কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজেই জঙ্গি দলে যোগদানের কথা জানিয়েছেন। সেই পোস্টে তাঁর স্ত্রী রিমার উদ্দেশ্যে ওই নেতা জানিয়েছেন, অসমের জনজাতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। তা তিনি সহ্য করতে পারছেন না। সেই কারণেই স্বাধীন অসম গড়তে জঙ্গি সংগঠন উলফায় যোগ দিলেন। একদিন আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, অসমের যুবকদের অনেকেই জঙ্গি সংগঠন উলফায় যোগ দিচ্ছে। ঠিক তার পরে যুব কংগ্রেসের নেতা জনার্দন গগইয়ের উলফায় যোগদানের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন-সীমান্তপার থেকে জঙ্গি এনে আশ্রয়দানের অভিযোগ, জইশ কমান্ডারকে জঙ্গি তকমা কেন্দ্রের
এই ঘটনায় সাদিয়ার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে শিবসাগর জেলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে বছর ৩০-এর ওই ধৃত ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠন উলফার লিংকম্যান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সদ্যপ্রাক্তন যুব কংগ্রেস নেতা জনার্দন গগইয়ের পরিবার অবশ্য তাঁদের বাড়ির ছেলের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগের খবর অস্বীকার করেছেন। গগইয়ের মা এবং বাবা দুজনেই শিক্ষক। সোশ্যাল মিডিয়া যুব কংগ্রেসের হয়ে রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন জনার্দন গগই। তাঁর এক শিশুসন্তান আছে। আরও একটি সন্তান হবে বলে সম্প্রতি জনার্দন গগই ও তাঁর স্ত্রী রিমা আশা প্রকাশ করছিলেন।
গত বছর থেকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জঙ্গি সংগঠন উলফার শীর্ষনেতা পরেশ বরুয়াকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি উলফা।
Read story in English