Mumbai Rain: সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে ঘুম থেকে উঠেই মাথায় আকাশ ভাঙল মুম্বইকরদের।শুক্রবার প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরীর জনজীবন। একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেন। নীচু এলাকায় জল জমে থাকায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে জনজীবন। মিঠি নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় আড়াইশো মানুষকে সরাতে হয়েছে। সান্তাক্রুজ আআবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫৩.৩ মিমি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। এটাই মুম্বাইয়ে মরসুমের দ্বিতীয় সর্বাধিক বর্ষণ। গত ১০ বছরের ইতিহাসে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত। এমনটাই দাবি করেছে আইএমডি।
তাদের মতে, এই বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস ছিল না। ফলে সতর্ক করা যায়নি পুলিশ, প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষকে। কেন এই ব্যর্থতা প্রশ্ন তুলেছেন আবহবিদেরা। তাঁদের দাবি, ‘সম্ভবত র্যাডারে ধরা না পড়ার কারণেই এই বিপত্তি। বঙ্গপোসাগর এবং আরব সাগরে পূর্বাভাস ছাড়া এই ধরণের বৃষ্টির ইতিহাস খুব একটা নেই।সম্ভবত অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো বজ্রগর্ভ মেঘ জমে যাওয়ায় এই বৃষ্টিপাত। দেখুন মুম্বাই বৃষ্টিতে কতটা বেহাল ছিল জনজীবন:
এদিকে, প্রবল বর্ষণে শহরে কুরলার মতো নীচু এলাকায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত হাঁটুজল ছিল। পাশাপাশি মাতুঙ্গা, চুনাভাট্টি, কিং সার্কেল, ওয়াডলা, সিওন, দাদারম কান্দিভেলি, চেম্বুর, গোরেগাঁওয়ের মতো এলাকা জল্মগ্ন। জল দাঁড়িয়ে ছিল ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওাইয়ে এলাকায়। জল্মগ্ন পথের কারণে একাধিক জায়গা রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাতিল করা হয় একাধিক বেস্ট বাসের যাত্রাপথ। সেন্ট্রাল এবং হারবার লাইনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেল যোগাযোগ।
মিঠি নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছে পৌছনোয় ক্রান্তি নগর বস্তির প্রায় ২৫০ জনকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। অপরদিকে, আগামি দুই-তিন দিনের জন্য ভারি-অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সান্তাক্রুজ হাওয়া অফিস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন