"রাজ্যে ২০ চাকার কন্টেনার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার ট্রাক বসে যেতে চলেছে। পাশাপাশি, এর ফলে কাজ হারাতে চলেছেন লক্ষাধিক মানুষ।" এই দাবি করেছেন ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি সজল ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্য জুড়ে যে ওভারলোড চলছে তা বরং বন্ধ করা হোক।
মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ শহরের চারটি বিপজ্জনক সেতুতে মালবাহী যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলো। একইসঙ্গে রাজ্যে ২০ চাকার ট্রাক চলাচলও নিষিদ্ধ হয়েছে। শুক্রবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, "অরবিন্দ সেতু, বেলগাছিয়া সেতু, বিজন সেতু ও টালিগঞ্জ সেতুতে সমস্যা রয়েছে। সেগুলিকে দ্রুত মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" একইসঙ্গে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা যে ভাবে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন তার দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেন গ্যারেজে পড়ে আছে চার কোটি টাকার সেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষা যন্ত্র?
উল্লিখিত চারটি সেতুতে কোনরকম মালবাহী গাড়িকে উঠতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন। মাঝেরহাটের ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই সেতুগুলি মেরামত করা হবে। কোনভাবেই যেন মালবাহী গাড়ি ওই সেতুতে উঠতে না পারে, তা সুনিশ্চিত করতে কড়া নজরদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে।পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সারা রাজ্যেই ২০ চাকার কন্টেনার চলাচল নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তবে এর ফলে সমস্যায় পড়বেন ট্রাক মালিক ও গাড়ির কর্মীরা, যদিও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে সোমবার এই বিষয়ে বৈঠক হবে পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন। ট্রাক মালিকদের বক্তব্য, "তাহলে কি ২০ চাকার কন্টেনারের জন্য মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়েছে? সারা রাজ্যে অজস্র সেতু, উড়ালপুল রয়েছে। ওভারলোড বন্ধ না করে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। আগে ওভারলোড বন্ধ করুক রাজ্য।"
এদিকে মাঝেরহাটের সেতু ভেঙে পড়ার যাতায়াত নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। হাওড়া থেকে বেহালা তিন ঘণ্টাতেও পৌঁছাতে পারছেন না। তার ওপর বেহালা অঞ্চলে রাতারাতি অটোর ভাড়া বেড়ে গিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াতের যে সমস্যায় পড়েছেন তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে কলকাতা নগরপাল এদিন আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, "কিভাবে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়া হচ্ছে । খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে।"