সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমণে ইন্দো-চিন সেনা ও কূটনীতিকস্তরে আলোচনা চলছে। উভয় দেশই নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে বাড়তি সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু, চিনের কার্যকলাপে কথা ও কাজের মিল নেই বলে দাবি ভারতের। গালওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে এখনও সেখানে ভারতীয় সেনাদের নজরদারিতে বাধা দিচ্ছে লাল ফৌজ। এবার তাই বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত সতর্ক করল নয়াদিল্লি। ভারত জানিয়েছে, 'এই পরিস্থিতি দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টাকে ব্যহত করবে।'
উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশ যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গালওয়ান ভ্যালি, হটস্প্রিং, প্যানগং লেকের পর এবার উত্তরের দেপসাং ভ্যালি পেরিয়েছে চিনা সেনারা। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে প্রচুর সমারাস্ত্র মজুত ও সেনা ছাউনিও গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, 'বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, বিশেষ করে ১৯৯৩-এর ধারা না মেনে মে মাসের গোড়া থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি সেনা ও সমরাস্ত্র মজুত করছে চিন। ভারতও তার পাল্টা সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। সেনা ও কূটনীতিকস্তরে আলোচনার মধ্যেই উভয় পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে।'
আরও পড়ুন- মে- র শুরুতেই গালওয়ানে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ইন্দো-চিন বাহিনী
ইতিমধ্যেই গালওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিনা সেনাবাহিনী। আলোচনার পরও সেই দাবি থেকে তারা সরে আসেনি। এমনকী ভারতীয় সেনাকে গালওয়ানে এখনও নজরদারিতে বাধা দিচ্ছে লাল ফৌজ। এই পদক্ষেপকে উভয় দেশের চুক্তির প্রতি 'সম্পূর্ণ অবমাননা' বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। চিনা সেনারা এহেন দাবি 'অন্যায্য ও অযোক্তিক' বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চলতি বছরে মে মাসের শুরুতেই গালওয়ানে ভারত-চিন সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
এই উত্তেজনার মাঝেই বেজিংয়ের অবস্থান স্পষ্ট করে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সাং ওয়েইডং বলেছেন, 'গালওয়ানে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের দায় চিনের নয়।' তাঁর কথায়, 'আমরা আশা করছি ভারত এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না, যা সীমান্ত পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। বরং তারা এমন ব্যবস্থা নেবে যাতে সীমান্তে সুস্থিতি আসে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন