তুঙ্গে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান খারিজই শুধু নয়, এবার লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। এই পরিস্থিতিতেও সমস্যা সমাধানে আলোচনাতেই আস্থা রাখতে চাইছে মোদী সরকার। আলোচনা জারি রাখতে আন্দোলনকারীদের কাছে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রবিশংকর প্রসাদ বলেছেন, 'আলোচনার মধ্যে বিক্ষোভকারীরা যে ইস্যুগুলো তুলেছেন তার মধ্যে যেগুলো যতখানি সম্ভব তার সমাধান করা হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইনি প্রক্রিয়ায় এবং ব্যবসায়ীদের নিবন্ধকরণ সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে আমরা সম্মত হয়েছি। আশা করছি ক্রমেই তাঁরা বুঝবেন যে, সর্বপরি এই আইন কৃষকদের স্বার্থেই হয়েছে।'
তবে, কৃষকদের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র কোন প্রক্রিয়ায় কখন, কীভাবে পদক্ষেপ করবে তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও বলেছেন, 'কৃষকদের কথা শোনা ও তার সমাধানে সরকার যৌথভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' এছাড়াও তাঁর ঘোষণা, 'আমরা নিশ্চিৎ যে কৃষকদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই আইন করা হয়েছে। মধ্যসত্ত্বভোগীদের খপ্পর থেকে মুক্ত করে কৃষকদের নতুন সুযোগ করে দেওয়াই এই তিন আইনের লক্ষ্য।'
ছোট কৃষকদের স্বার্থে বেশ কয়েকটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন রবিশংকর প্রসাদ। তাঁর কথায়, 'প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষকই ছোট ও প্রান্তিক। চাষে প্রযুক্তির ব্যবহার ও তার ফায়দা তুলতে অপারক। তাঁদের কি প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিক করা উচিত? নতুন সুযোগ পাওয়া থেকে কেন তাঁদের বঞ্চিত কা হবে? ছোট চাষিদে পণ্যমূল্য নির্ধারণের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়? এগুলো মৌলিক বিষয়. চর্চা প্রয়োজন।'
কিন্তু, আলোচনা নিষ্ফলা। কেন্দ্রের বক্তব্য় মানতে রাজি নয় আনোদলনকারী কৃষক ইউনিয়নগুলো। এই পরিস্থিতিতে সমাধান সূত্র কী? জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন, 'গণতন্ত্রে আলোচনা, পরামর্শ ও লক্ষ্যপূরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাই একমাত্র পথ।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'কিছু বলুন, কিছু শুনুন' মন্তব্য টেনে রবিশংকর বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই গুরুত্ববাহী। এটাই গত ২০ বছর ধরে চলে আসছে।'
বহু অন্য সংগঠন ও রাজনৈতিক দল কৃষক আন্দোলনের পাশে রয়েছে। এ স্পর্কে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, 'কৃষকদের লড়াই ওদের নিজেদের লড়তে দিন। আইনি প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। কৃষকদের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন