শতাব্দী এক্সপ্রেসে বিতর্কিত একটি সংবাদপত্র নিয়ে শোরগোল। যাত্রীর সিটে রাখা সংবাদপত্রে একাধিক বিতর্কিত খবরের শিরোনাম। 'আর্যাবর্ত এক্সপ্রেস' নামে ওই বিশেষ সংবাদপত্রটি কেন ভারতীয় রেলের তরফে যাত্রীদের দেওয়া হল তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) ওই নিউজ পেপার ভেন্ডরকে সতর্ক করেছে।
বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা 'আর্যাবর্ত এক্সপ্রেস'। সেই কাগজের প্রথম পৃষ্ঠায় "ইসলামিক শাসনের অধীনে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধদের গণহত্যা স্বীকৃত হওয়া প্রয়োজন এবং রাষ্ট্রসংঘের উচিত ঔরঙ্গজেবকে হিটলারের মতো হত্যাকাণ্ডের নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা," শীর্ষক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ট্রেনটিতে সংবাদপত্র বিতরণকারী লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভেন্ডর পিকে শেফি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, অনুমোদিত অন্য সংবাদপত্রগুলির পাশাপাশি বিকল্প হিসেবেই ওই সংবাদপত্রটি রাখা হয়েছিল। কাগজটি পাওয়া মাত্রই এক যাত্রী টুইটে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন।
''আমাদের বোর্ডের ছেলেরা যাঁরা সংবাদপত্র বিতরণ করেছিলেন তাঁরা বুঝতেই পারেননি যে অন্য সংবাদপত্রের সঙ্গে এটিও রাখা হয়েছে। যাই হোক, তাঁরা কোন সংবাদপত্র দিচ্ছেন তা পড়ে দেখেননি। তবে আমি ওঁদের বলেছি, এবার থেকে মূল কাগজ ছাড়া অন্য কোনও সংবাদপত্র দেওয়া যাবে না।''
এদিকে, ভারতীয় রেলে যাত্রীদের বিতর্কিত ওই সংবাদপত্র দেওয়া নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষও। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনী হাসিজা বলেন, ''আমরা ভেন্ডরকে সতর্ক করেছি। চুক্তি অনুযায়ী ওই ভেন্ডরকে শুধুমাত্র ডেকান হেরাল্ডের কপি এবং একটি কন্নড় কাগজ সরবরাহ করতে হবে। তাঁদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা উচিত।''
আরও পড়ুন- ‘বিশ্বের বাজার দখলে নজর দিক দেশের ওষুধ সংস্থাগুলি’, মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
শুক্রবার সকালে ওই ট্রেনের এক যাত্রী গোপিকা বক্সি বিতর্কিত ওই সংবাদপত্র দেওয়ার বিষয়টি টুইটে প্রকাশ্যে এনেছিলেন। টুইটে ওই যাত্রী লিখেছিলেন, ''আজ সকালে আমি ব্যাঙ্গালোর-চেন্নাই শতাব্দী এক্সপ্রেসে চড়েছিলাম। প্রতিটি সিটে নির্লজ্জভাবে প্রচারমূলক প্রকাশনা সংস্থার দ্বারা অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আর্যাবর্ত এক্সপ্রেস রাখা ছিল। এর নামও কখনও শুনিনি। আইআরসিটিসির আধিকারিকরা কীভাবে এটির অনুমতি দিচ্ছেন???" তিনি কাগজটির ছবি-সহ টুইট করেছেন। রেলের তরফে ওই কাগজটি দেওয়া হচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন তুলতে থাকেন অন্য যাত্রীরাও।
তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে আইআরসিটিসি। টুইটে সংস্থাটি জানিয়েছে, ''উল্লিখিত ‘আর্যাবর্ত এক্সপ্রেস’ নিয়মিত অনুমোদিত সংবাদপত্রের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংবাদপত্র বিক্রেতাকে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ না করার জন্য কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।''
Read full story in English