বেনজির ঘটনা করোনা আবহে। মধ্যপ্রদেশের সরকারি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সুরেন্দ্র তিওয়ারির মৃত্যু ঘিরে মারাত্মক এক অভিযোগ উঠল। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেন ওয়ার্ড বয়, যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষকের।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে তখনই যখন ফোনে সুরেন্দ্র তাঁর ছেলে দীপকের কাছে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার এবং শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানান। এমনকী ছেলের কাছে সাহায্যর আর্তিও করেন। শিবপুরীর দুর্গাপুর গ্রাম তহসিলের বাসিন্দা সুরেন্দ্র তিওয়ারি ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে এই সরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন।
পরিবার সূত্রে বলা হয় যে সুরেন্দ্রর চিকিৎসা চলছিল এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। দীপকের মতে, বুধবার সকালে তার বাবার কাছ থেকে তিনি একটি ফোন পেয়েছিলেন। তিনি হাসপাতালে এসে দেখেন তাঁর বাবা হাঁফাচ্ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দীপক বলেন, “রাতে বাবার অক্সিজেন সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছিল। সকালে আমি যখন সেখানে পৌঁছেছিলাম দেখলাম মুখে অক্সিজেন মাস্ক নেই। তখন নার্সদের অনেক আবেদন করলাম, কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমি পরে মাস্ক দিলেও ১৫ মিনিটের মধ্যে বাবা মারা যান।”
দীপক সুস্পষ্ট উত্তর না পাওয়ায় তিনি বিজেপির মুখপাত্র জয়বর্ধন শর্মার কাছে গিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে এসে মধ্যরাতের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি করেছিলেন। “ফুটেজ দেখার পরে স্পষ্টভাবে দেখা গেল যে ওয়ার্ড বয় প্রথমে সংযুক্ত পোর্টেবল অক্সিজেন সরিয়ে ফেলে এবং মাস্কও সরিয়ে দেওয়া হয়। অপরাধমূলক অবহেলা এবং আমরা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।”
সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের পরে জেলা হাসপাতাল বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।