Advertisment

বার বার প্যারোলে মুক্তি পায় বিলকিসের ধর্ষকরা, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের আগুন

কখনও ছেলের বিয়ে, কখনও মায়ের হাঁটু প্রতিস্থাপন- এইরকম নানা কারণ দেখিয়ে করা হয়েছিল প্যারোলের আবেদন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
convicts of bilkis bano case

মুক্তির পর বিলকিসের সাজাপ্রাপ্তরা

বিলকিস বানো মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ ক্ষমাভিক্ষার কারণে মুক্তি পেয়েছে। এনিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। খোদ বিলকিস বানো পর্যন্ত এই ঘটনায় নানা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভয় পাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রাষ্ট্রপতি- সর্বস্তরের কাছে তিনি সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন। এই বিতর্কে যখন গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, সেই সময় উঠে এল নতুন তথ্য। যাতে জানা গিয়েছে, জেলে থাকাকালীনও বিলকিস বানোর সাজাপ্রাপ্তরা ঘনঘন প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন। আর, জেল থেকে বাইরে বেরিয়েই তারা সাক্ষীদের রীতিমতো ভয় দেখিয়েছে।

Advertisment

বিলকিস-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তরা ছিল গোধরা উপসংশোধনাগারে। জেলে থাকাকালীন এই সাজাপ্রাপ্তরা বারবার জামিনেরও আবেদন করেছিল। কোনও কোনও সময় দেখা গিয়েছে, সেই আবেদন বাতিল হয়েছে। তবে, প্যারোলের ক্ষেত্রে যেন তাদের ছিল অবাধ ছাড়। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে তারা প্যারোলের আবেদন জানাত। কখনও ছেলের বিয়ে, কখনও মায়ের হাঁটু প্রতিস্থাপন- এইরকম নানা কারণ দেখিয়ে চলত প্যারোলের আবেদন। বিলকিস-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তরা ছাড় পাওয়ার পর এই নতুন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক।

আরও পড়ুন- রকেট গতিতে সম্পত্তি বেড়েছে কেষ্টর, সাতসকালে শিবশম্ভু রাইসমিলে CBI

নথি বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে, গুজরাট হাইকোর্টে রাধেশ্যাম শাহ একটি পিটিশন জমা দিয়েছিল। সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল আদালত। সরকারি নথিই বলছে, সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে একজন তার বাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের কাছে ২৮ দিনের প্যারোল চেয়েছিল। তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচারপতি এএস সুপেহিয়া বলেন, ' জেলের রিপোর্টের পাশাপাশি যে কারণে আবেদনটি করা হয়েছিল, সেই কারণের কথা মাথায় রেখেই আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।' আদালত আরও জানায় যে, রাধেশ্যাম শাহ ইতিমধ্যেই ৬০ দিন প্যারোলে কাটিয়েছে। সেটা চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। তাই নতুন করে প্যারোল মঞ্জুর করা সম্ভব না।

এর আগে, সাজার আবেদনের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল রাধেশ্যাম শাহ। সেই মামলা বিচারাধীন থাকাকালীনই, শাহ ২০১১ সালে 'তার মায়ের হাঁটু প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারের' জন্য তিন মাসের অস্থায়ী জামিনের আবেদন করেছিল। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম কানাড়ে এবং এএম থিপসের ডিভিশন বেঞ্চ শাহর আবেদন প্রত্যাখ্যান এবং খারিজ করে জানায় যে '২০১০ সালের ডিসেম্বরে ইতিমধ্যেই সে ফার্লোতে মুক্তি পেয়েছিল। আর ২০১১ সালেও তার ফার্লো ছুটিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।' তাই নতুন করে জামিনের প্রশ্নই আসে না।

Read full story in English

Jail Bilkis Bano Parole
Advertisment