দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তখন গুলির লড়াই চলছিল। দুষ্কৃতীদের ধরতে তখন মরিয়া পুলিশ। এমতাবস্থায় হঠাৎ বিপাকে পড়লেন মনোজ কুমার নামের এক সাব ইন্সপেক্টর। গুলি চালাতে গিয়ে দেখলেন গুলি বন্দুকে আটকে গিয়েছে। কিছুতেই সেই বন্দুক দিয়ে গুলি বের করতে পারলেন না। অগত্যা, উপস্থিত বুদ্ধির দৌলতে গুলির শব্দ নকল করলেন আর চেঁচালেন ''মারো মারো'', ''পকড়ো পকড়ো'' বলে। যা দেখে তোলপাড় সোশাল দুনিয়া। এবার সেই পুলিশকর্মীই পাচ্ছেন সাহসিকতার পুরস্কার।
এ প্রসঙ্গে সম্বল পুলিশ সুপার যমুনা প্রসাদ জানিয়েছেন যে, ওই পরিস্থিতিতে যেভাবে উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েছেন ওই এসআই, তাতে তাঁকে সাহসিকতার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ''নানা কারণে এমন কৌশল নিতে হয়েছে। প্রথমত, বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশ বাহিনী আসছিল। ফলে উনি ওভাবে চিৎকার করায় অন্যরা জেনে গিয়েছিলেন লোকেশন। তাছাড়া অপরাধীদের চমকাতে আমরা ''মারো, মারো'' ''পকড়ো পকড়ো'' বলে থাকি। এতে দুষ্কৃতীদের এমন বার্তা দেওয়া হয় যাতে, তারা আত্মসমর্পণ করে।''
তিনি আরও বলেন, ''সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে এমন ভাবে চর্চা হয়েছে যাতে ওই এসআইকে ভিলেন বানানো হয়েছে। এনকাউন্টার নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিলাম অতিরিক্ত এসপিকে। উনি জানান যে, দীর্ঘক্ষণ ধরে এনকাউন্টার চলছিল। দুষ্কৃতীরা লুকিয়েছিল। এসআই উপস্থিত বুদ্ধির জেরে অমনটা করেছেন। আমি পাঁচ সদস্যের ওই পুলিশ বাহিনীকে সার্টিফিকেট দেব ও ডিজিপির প্রশংসার জন্য সুপারিশ করব।''
আরও পড়ুন, এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীদের ভয় দেখাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ!
সেদিন রুকশাদ ও ভাতিজা নামের দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল সম্বল পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারলে পুরস্কার হিসেবে ২৫,০০০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন গুলির লড়াইয়ে এক কনস্টেবল জখম হন। এক দুষ্কৃতীর পায়ে গুলি লাগে। পরে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, ওই পুলিশকর্মীকে সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া ঘিরেও চর্চা শুরু হয়েছে টুইটারে। বর্তমানে আসমলি থানায় কর্মরত এসআই মনোজ কুমার। এ ব্যাপারে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Read the full story here in English