Advertisment

ভয়ঙ্কর! তন্ত্রসাধনা করতে ধর্ষণ-খুনের পর শিশুকন্য়ার লিভার কাটল অভিযুক্তরা

১৯৯৯ সালে বিয়ের পর থেকে এক দম্পতি নিঃসন্তান ছিল। তন্ত্রসাধনায় বিশ্বাস করে তারা জানতে পারে যে, শিশুকন্য়ার লিভার খেলেই তারা সন্তান লাভ করতে পারবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kanpur rape, কানপুর ধর্ষণ

ওই দম্পতি ও দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হাথরাসের নির্মম ঘটনা ফিকে হতে না হতে উত্তরপ্রদেশে আরও এক বর্বরোচিত ঘটনা সামনে এল। দীপাবলির রাতে ৭ বছরের শিশুকন্য়াকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল কানপুরে। খুন করার পর শিশুটির লিভার কাটারও অভিযোগ উঠেছে। তন্ত্রসাধনার জন্য়ই শিশুটির লিভার কাটে দুই অভিযুক্ত যুবক, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

Advertisment

রুরাল কানপুর এলাকার এক গ্রামের এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে বিয়ের পর থেকে এক দম্পতি নিঃসন্তান ছিল। তন্ত্রসাধনায় বিশ্বাস করে তারা জানতে পারে যে, শিশুকন্য়ার লিভার খেলেই তারা সন্তান লাভ করতে পারবেন। সে কারণেই দুই যুবককে ১৫০০ টাকা দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। ওই দম্পতি ও দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ব্রিজেশ কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ১৫০০ টাকা দিয়ে দুই যুবক মদ কেনে। অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা শিশুকন্য়াটিকে যৌন নির্যাতন করে। তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্য়া করে। এরপরই পেট কেটে লিভার বের করে।

আরও পড়ুন: প্রকাশ্য়ে প্রস্রাব করায় যুবককে ‘পিটিয়ে খুন’ উত্তরপ্রদেশে

এ ঘটনা প্রসঙ্গে কানপুর নগর ডিআইজি প্রীতিন্দর সিং বলেন, ‘‘দীপাবলির রাতে বাড়ির বাইরে খেলছিল শিশুটি। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। সারারাত খুঁজেও মেয়েটিকে পায়নি পুলিশ। পরের দিন সকালে গ্রাম থেকে ১ কিমি দূরে একটা জঙ্গলের কাছে তার বিকৃত দেহ উদ্ধার করা হয়...চিপস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল’’।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ নির্যাতিতার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের কঠোর সাজার নির্দেশ দিয়েছেন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news
Advertisment